আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ২২/১০/২০২৩ : বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্রের মধ্যে বাগযুদ্ধ যেন আর থামতেই চাইছে না। সংসদে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার বিষয়টি লোকপাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেলেন নিশিকান্ত দুবে।
অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলা এবং পোষ্য সারমেয় অপহরণ এই দুই অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বিতর্কের ঝাঁঝ চরমে উঠতে চলেছে একটু একটু করে। অবশ্য বিতর্কে থাকাটাই যেন অভ্যাসে পরিণত করে নিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। এর আগে সাংবাদিকদের দু' টাকার সাংবাদিক বলেও বিতর্ক তৈরি করেছিলেন তিনি। তবে এবারে বেশ চাপে তিনি, কেননা আদালতে তিনি এই সব কিছুর বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ হিসেবে যে মানহানির মামলা করেছিলেন, সেই মামলা থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন মহুয়ার আইনজীবী। ফলে সেই মামলা শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে আদালত সেই মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্যে ৩১শে অক্টবর ধার্য করলেও গোটা মামলাটিকেই স্থগিত করে রাখতে চাইছেন মহুয়া নিজেই। বোঝাই যাচ্ছে বেশ চাপে তিনি।
এই বিতর্কিত অধ্যায়ে দলকে পাশে পান নি মহুয়া। তৃণমূল এই ব্যাপারে কোনো রকম বিবৃতি দিতে অস্বীকার করেছে। তাই আরও বিপাকে মহুয়া। তবে তাঁকে দেখে অবশ্য বোঝার উপায় নেই যে তিনি প্রবল মানসিক চাপে আছেন, বরং এখনও বেশ বেপরোয়া লাগছে তাঁকে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে অস্বীকার করে নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি।তিনি সত্যিই অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটা স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে, খুব শীঘ্রই সেই কমিটি রিপোর্ট পেশ করবে সংসদে। সেই রিপোর্টে দোষী সাব্যস্ত হলে সংসদ থেকে সাসপেন্ডও করে দেওয়া হতে পারে মহুয়া মৈত্রকে।
কোনো সাংসদ বা মন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্ত হলে লোকপাল সহ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। সেক্ষেত্রে তদন্ত করে দেখে সিবিআই। আজ মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকপালে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় তদন্তে নামবে সিবিআই। মহুয়া আজ বলেন, "সিবিআই শুনে শুনে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি।"