আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ১৮/০৮/২০২৩ : স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুর পর অবশেষে নিরাপত্তা নিয়ে এক গুচ্ছ ব্যবস্থা নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, যদিও সেইসব ব্যবস্থাপনা নিয়ে উঠেছে বিস্তর প্রশ্ন। সেইসব প্রশ্নের এখনও পর্যন্ত কোনো উত্তর পাওয়া যায় নি। সুতরাং সব কিছুর পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিয়ে ফাঁক থেকেই গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
আপাতত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বলা হয়েছে, রাত্রি আটটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। সেই পরিচয়পত্র না থাকলে অন্য যে কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। সে ক্ষেত্রে যার কাছে যাওয়া হবে, তার ফোন নম্বর দাখিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার কারণ জানাতে হবে।
যে গাড়িগুলি বিশ্ববিদ্য্যালয় চত্বরে প্রবেশ করবে, সেই গাড়িগুলিতে কর্তৃপক্ষের দেওয়া 'জে ইউ' লেখা স্টিকার থাকতে হবে। দুই চাকার মোটর সাইকেলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বলবৎ থাকবে। যদি এই স্টিকার না থাকে তাহলে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর গেটে নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে লিখিয়ে নিতে হবে।
রেজিস্ট্রার স্নেহমন্জু বসু বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোনো রকম নেশার দ্রব্যাদিকে অনুমতি দেওয়া হবে না। যদি কোনো রকম নেশার দ্রব্যাদি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কারোর কাছে থেকে পাওয়া যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার এবং বাইরে চলে যাওয়ার কয়েকটি তোরণে সিসিটিভি লাগানো হবে।"
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা নিয়ে এক গুচ্ছ ব্যবস্থা নিলেও সেগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। প্রথমত, রাত্রে আই কার্ড দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করা যাবে। কিন্তু দিনের বেলায় কি একই কার্ড বলবৎ থাকবে ? বিশেষ ব্যবস্থাপনায় রাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশের এতটা প্রয়োজন কেন থাকছে ? পাস আউট ছাত্রদের হোস্টেল ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে, কিন্তু নিরাপত্তার খাতিরে তাদেরকে নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ নেই কেন ? সিসিটিভি কেন মাত্র কয়েকটি জায়গায় বসানো হচ্ছে ? হষ্টেলের গেটে সিসিটিভি কেন বসানো হচ্ছে না ? ৱ্যাগিং নিয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশিকা দেওয়া হল না কেন ? অনেকেরই প্রশ্ন তুলে বলেছেন যাদবপুর ববিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি তবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিরাপত্তার প্রশ্নে নিজেদের ওপর থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতেই নাম মাত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাইছে ? এইসব প্রশ্নের উত্তরগুলো এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায় নি।