আজ খবর (বাংলা), হৃষিকেশ, উত্তরাখন্ড, ১৭/০৮/২২৩ : সেতুর সহযোগী তারগুলো এক এক করে খুলে পড়ে যাচ্ছে। হৃষিকেশের রাম ঝুলা সেতুর ওপর দিয়ে দুই চাকার মোটর সাইকেল চলাচলও নিষিদ্ধ করা হল।
উত্তরাখন্ড রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হয়ে চলেছে। ধ্বস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। নদীর ধারে থাকা বড় বড় ইমারতগুলো তাসের বাড়ির মত ভেঙে পড়েছে। দুর্যোগ যেন কিছুতেই আর থামতে চাইছে না।উত্তরাখণ্ডে পাহাড়ি নদীগুলি যেন ফুঁসছে। প্রবল বেগে বয়ে চলেছে গঙ্গা নদীও। হৃষিকেশ শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা গঙ্গা যেন তাণ্ডব নৃত্য দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গার ওপরে থাকা রাম সেতুর বাঁধন সহযোগী মোটা মোটা তারগুলি ছিঁড়তে শুরু করেছে। এর ফলে সেতুটি কমজোরি হয়ে পড়েছে। সারাইয়ের কাজ এখনও শুরু করা যায় নি।
হৃষিকেশ শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকায় ঝুলন্ত রাম সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মোটর সাইকেল ও সাইকেল যাতায়াত করে। কিন্তু সেতুর ক্ষতি হওয়ার দরুন এবার ঐ সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেলের যাতায়াত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হল। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে মানুষের যাতায়াতও। দ্রুত রাম সেতুতে সারাইয়ের কাজ হয়ত চালু করে দেওয়া হবে।
শুধুমাত্র হৃষিকেশ শহরই নয়, গোটা উত্তরাখন্ড রাজ্যেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রত্যেক নদীর জলস্তর অনেকটা করে বেড়ে গিয়েছে, গঙ্গা নদীর জলস্তরও বেড়েছে অনেকটাই। অনেক জায়গায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে নদীগুলি। পরমার্থ নিকেতন আশ্রমের কাছে গঙ্গায় নিমজ্জিত শিবমূর্তির অনেকটাই ডুবে গিয়েছে জলের তলায়। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না কোনোমতেই। এখনও পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে শুধুমাত্র দুর্যোগের কারনে মারা গিয়েছেন ৫২ জন মানুষ, আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ৩৭ জন মানুষ। নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন বলে জানা গিয়েছে।