আজ খবর (বাংলা), এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৭/০৫/২০২৩ : এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের তদন্ত করতে বুধবার খাদিকুল গ্রামে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। এদিকে ঐ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯, যদিও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
খাদিকুল গ্রামে ভানু বাগের (কৃষ্ণপদ বাগ) বাড়িতে চলা অবৈধ বাজি কারখানাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। এই বাড়িতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরণ বাজি ফেটে হয়েছে নাকি অন্য কোনো বিস্ফোরক ফেটে হয়েছে সেটা দেখতেই সিআইডি কাজ শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে যাতে কোনো চিহ্ন, সামগ্রী, তথ্য মুছে না যায় তার জন্যে ঘটনাস্থলের আশেপাশের কিছুটা জায়গা নিয়েই একটি হলুদ দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করাও শুরু হয়েছে।
খাদিকুল গ্রামের অদূরেই ওড়িশা সীমান্ত। গ্রাম থেকে মাত্র ২ বা ৩ কিলোমিটার দূরে। স্থানীয় কিছু মানুষ দাবী করেছেন ঘটনা ঘটে যাওয়ার সময় ঐ কারখানার মালিক ভানু বাগ ঘটনাস্থলেই ছিল। বিস্ফোরণের ঘটনায় সে কিছুটা আহতও হয়েছিল। তারপরেই একটি বোলেরো গাড়ি নিয়ে সে নাকি ওড়িশা সীমান্তের দিকে পালিয়ে যায়। সেই থেকে নিখোঁজ ভানু, তার খোঁজে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে। এমনকি ওড়িশাতেও পুলিশের একটি দলকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
এদিকে আজ খাদিকুল গ্রামে অকুস্থল পরিদর্শন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ঘটনার দায় প্রশাসনের ওপর চাপিয়ে পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবী করেছেন। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে শুভেন্দুবাবু আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামীকাল সকালে এই মামলার শুনানি করা হবে। এদিন ঘটনাস্থলে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরাও গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মানস ভূইঁয়ার নেতৃত্বে। কিন্তু ঘটনাস্থলে গেলে কেউ কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে 'চোর চোর' স্লোগান দিতে শুরু করলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মৃতদের নিকট আত্মীয়দের হাতে আড়াই লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের জন্যে এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে, যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "সব কিছুর হিসেবে হবে।"