আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ২৩/০৩/২০২৩ : আদালতে ঢোকার মুখে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। ও দাবী করেন যে তিনি কোনো বেআইনি কাজ করেন নি।
বৃহস্পতিবার আদালতে প্রবেশ করার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহাসচিব তথা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনজন বিরোধী নেতার নাম নিলেন। এই তিনজন বিরোধী দলের নেতারা হলেন বামফ্রণ্টের সুজন চক্রবর্তী, বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (বিজেপি)।
এদিন পার্থ চ্যাটার্জি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, "এর আগে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্যে নানাভাবে সুপারিশ করেছিলেন। ২০০৯-১০ সালের ক্যাগ রিপোর্ট দেখুন। উত্তরবঙ্গে সুজন চক্রবর্তী কি করেছিলেন ? ২০১১-১২ সালে শুভেন্দু অধিকারী কি করেছিলেন ? আমাকে ওঁরা সুপারিশ করেছিলেন, আমি বলেছিলাম আমি নিযোগ কর্তা নই , তাই আমি কোনোরকম সাহায্য করতে পারব না। কোনো বেআইনি কাজ আমি করতে পারব না। আজ সুজন চক্রবর্তী, দিলীপবাবু বা শুভেন্দুবাবুরা এত বড় বড় কথা বলছেন কিভাবে ?"
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "২০০৯-১০ সালের ক্যাগ রিপোর্ট দুই বা তিন বছর পরে প্রকাশিত হয়। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে গিয়েছে। তাহলে তখন ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে তৃণমূল সরকার কেন কোনো তদন্ত করল না ? আমার মনে হয় ওঁর সার্কিটটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে।" বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, "উনি (পার্থ চ্যাটার্জি) যে সময়ের কথা বলছেন, সেই সময় আমি রাজনীতির সাথে আদৌ যুক্ত ছিলাম না। ওঁকে চিনতামও না। উনি যা কিছু বলছেন, তার প্রমাণ যদি উনি দিতে পারেন, তাহলে ওঁর জায়গায় আমি জেল খাটতে রাজি আছি। না হলে ওঁকে সারা জীবন জেল খাটতে হবে।"
তৃণমূলের তরফ থেকে দাবী করা হচ্ছে যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীকেও যুক্ত করা উচিত। এদিকে আদালতে ঢোকার মুখে পার্থ চ্যাটার্জি যখন বিরোধীদের নাম বলছেন, তার ৪০ মিনিট আগে তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ একটি টুইট করেছিলেন। সেই টুইটেও দেখা যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী এবং আর এক বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য্যের বিরুদ্ধে।
জেলে বন্দী পার্থ চ্যাটার্জি বিচারপতির কাছে আবেদন করে বলেছিলেন যে তিনি আদালতকে কিছু জানাতে চান।, সেইজন্য তাঁকে যেন ৫ মিনিটের জন্যে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয়। এদিন বিচারপতি তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে পার্থ চ্যাটার্জিকে বক্তব্য রাখার অনুমতি দেন। সেই অনুযায়ী আজ পার্থ চ্যাটার্জি আদালতে পৌঁছে যান।