আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ০৩/০৩/২০২৩ : উত্তর ভারতে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ত্রিপুরা এবং নাগাল্যান্ডে ফের নতুন করে সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। ত্রিপুরায় তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং নাগাল্যান্ডে এনডিপিপির সাথে জোট বেঁধে সরকার তৈরি করা হবে।
মেঘালয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ২৬টি আসনে জিতেছে। সুতরাং তারাই মেঘালয়ে সরকার গড়বে, তবে সমর্থন থাকবে বিজেপির। মেঘালয়ের রাজনৈতিক সমীকরণ বলছে সব কিছু ঠিক থাকলে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা আগামী ৭ তারিখে মেঘালয়ের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন। জোট সঙ্গী হলেও বিজেপি এবং এনপিপি মেঘালয়ে আলাদা আলাদাভাবে ভোটে লড়েছে নিজেদের শক্তি নিয়ে।
উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে বিজেপি তাদের দাপট দেখিয়েই চলেছে, পদ্ম শিবিরের ওপর বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বেড়েছে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে। ফলাফল একটাই তিন রাজ্যেই শাসনকর্তা অপরিবর্তিত থাকছে। যদিও ত্রিপুরায় তিপ্রামথা দলটি নতুন করে আশা জাগিয়েছে। তবু যতটা দাঁত করা হয়েছিল বা ত্রিপুরায় সরকার গঠনে নির্ণায়ক হবে বলে মনে করা হয়েছিল ততটা হয় নি. আবার ত্রিপুরায় সেভাবে কিছুই করে উঠতে পারে নি তৃণমূল কংগ্রেস। এবার নির্বাচনে খাতাও খুলতে পারে নি তারা।
উত্তর পূর্ব ভারতে এতবড় রাজনৈতিক জয়কে ঐতিহাসিক জয় বলে মনে করছে পদ্ম শিবির। একটা সময় কংগ্রেসকে এই জায়গায় দেখা যেত। অমিত শাহও বিষয়টি মেনে নিয়ে বলেছেন "উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বিজেপির এই জয় যেন ঐতিহাসিক জয়। ভারতের রাজনীতির ইতিহাস মনে রাখবে এই দিনগুলিকে।" ত্রিপুরায় ফের একবার জয়লাভের জন্যে অমিত শাহ ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এবং ত্রিপুরার বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্যকে।
উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির নির্বাচনের ফলাফল দেখে দৃশ্যতই খুশী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এই তিন রাজ্যের সাধারণ মানুষের রায়দানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি খুশী হয়েছেন গণতন্ত্রের জয় হয়েছে দেখে। দিল্লীর বিজেপি পার্টি অফিসে নরেন্দ্র মোদী বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "উত্তর পূর্ব দিল্লী থেকে আর দূরে রইল না, আমার হৃদয়ের কাছাকাছি চলে এল। গণতন্ত্রের ওপর মানুষের বিশ্বাস দেখে আমি অভিভূত। ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও মনিপুরের মানুষ যে বিজেপি ও জোটসঙ্গীদের আশীর্বাদ করেছেন তার জন্যে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে কাজটি এত সহজ ছিল না, তিন রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের যে অক্লান্ত পরিশ্রম এর পিছনে রয়েছে তাকে আমি শ্রদ্ধা করি।"