আজ খবর (বাংলা), আঙ্কারা , তুরস্ক, ০৯/০২/২০২৩ : ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে তুরস্ক এবং সিরিয়ায়। এখনও পর্যন্ত ঐ অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রাণের স্পন্দন খুঁজে বের করতে এখনও চলছে উদ্ধারকার্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' জানিয়েই রেখেছে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত মোট ৬২,৯১৪ জন মানুষ আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
ভূমিকম্পের খবর আসতেই তুরস্কের পাশে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে যে দেশ প্রথম দাঁড়িয়েছিল, তার নাম ভারত। বন্ধু দেশ না হওয়া সত্বেও ভারতের এই উদ্যোগ দেখে তুরস্ক ভারতকে 'দোস্ত' হিসেবে মেনে নিয়েছে। ঘটনার দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছিলেন ব্যাঙ্গালোরে, কিন্তু সিরিয়া বা তুরস্কে ত্রাণ পাঠাতে তিনি একটুও দেরি করেন নি। এই ব্যাপারে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সেরে নিয়ে তিনি সর্বাগ্রে এনডিআরএফ -এর উদ্ধারকারী দল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর উদ্ধারকাজের জন্যে তিনি একটি মিশন প্রস্তুত করেন, যার নাম দেওয়া হয় 'অপারেশন দোস্ত'। এই মিশনে ভারত তুরস্কে লাগাতার ত্রাণ সামগ্রী, চিকিৎসক, ওষুধপত্র, পানীয় জল ও অন্যান্য সামগ্রী পাঠিয়ে গিয়েছে। এত দ্রুত ত্রাণ ও অন্যান্য সামগ্রী পাঠিয়েছে ভারত, যে সেখানকার মানুষও অভিভূত হয়ে গিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোগান খোলাখুলি ভারতের প্রশংসা করেছে।
বৈদেশিক বিষয়ক মন্ত্রী এস জয় শঙ্কর জানিয়েছেন, 'অপারেশন দোস্ত-এর জন্যে ভারতের ষষ্ঠ বিমানটি বিভিন্ন রকম ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কে পৌঁছেছে। এই বিমানে ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি, পাঠানো হয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। বিমানে পাঠানো হয়েছে ডগ স্কোয়াডকেও। তুরস্কে বেশ কিছু এমার্জেন্সী মেডিকেল ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেই শিবিরগুলিতেও নিরন্তর কাজ করে চলেছেন ভারতীয় চিকিৎসক ও মেডিকেল স্টাফেরা। দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছে তুরস্ক ও সিরিয়া, কিন্তু যে ক্ষত তাদের জীবনে নেমে এল সেই ক্ষত দূর করা সম্ভবত খুব সহজ হবে না। সময়ই এর উত্তর দিতে পারবে।