আজ খবর (বাংলা), ইসলামাবাদ, পাকিস্তান, ২৮/০২/২০২৩ : আন্তর্জাতিক অবরোধের হুমকি, নিজের দেশে ভয়ঙ্কর মুদ্রাস্ফীতি, সব মিলিয়ে চরম সঙ্কটের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। তবু মন্দের ভাল, ইউএস ব্যুরো অফ কাউন্টার টেররিজম তাদের রিপোর্টে লিখেছে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তান সামান্য উন্নতি করেছে। 'কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম ২০২১ : পাকিস্তান' শীর্ষক ঐ রিপোর্ট কিছুটা হলেও নতুন অক্সিজেন জোগাতে চলেছে প্রতিবেশী দেশটিকে।
ঐ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, যে সব জঙ্গী সংগঠনগুলি পাকিস্তানে নানা সময়ে আক্রমন চালিয়ে থাকে, তাদের মধ্যে রয়েছে তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তান (TTP ), বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA) এবং আইএসআইএস - কে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের নীতি ছিল আর দেরি না করে জঙ্গী সংগঠনগুলিকে লাগাম পড়ানো। কিন্তু সেই কাজে খুব একটা দূর এগোতে পারে নি পাকিস্তান। ইউএস-এর ঐ রিপোর্ট বলছে, অনেক চেষ্টা করেও এই ব্যাপারে সামান্য এগিয়েছে পাকিস্তান। বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনগুলি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে মূলতঃ সিন্ধ এবং বালুচিস্তান অঞ্চলেই আঘাত হানত। তারা আইইডি বিস্ফোরক, গ্রেনেড অথবা সুইসাইড বোমা ব্যবহার করত।
২০১৮ সালে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তান একরকম বাধ্য হয়।২০১৮ সালে FATF জঙ্গী সংগঠনগুলিকে ফান্ড দেওয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানকে সতর্ক করে এবং এরপর ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক অর্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থা FATF পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে দেয় শর্ত সাপেক্ষে। সেই শর্ত পূরণ করতে না পারলে কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার খাঁড়াও ঝুলছে পাকিস্তানে সামনে।
এরই মধ্যে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েই চলেছে পাকিস্তানে। আবশ্যকীয় দ্রব্যমূল্য ক্রমেই হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে পাক নাগরিকদের। পেট্রল ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। যার ফলে অন্যান্য দ্রব্যের দামও আকাশ ছুঁয়েছে। পাকিস্তানে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষদের অবস্থা আরও শোচনীয়। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে চরম সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তান।