আজ খবর (বাংলা), ইটানগর, অরুণাচল প্রদেশ, ১৭/০২/২০২৩ : অরুণাচল প্রদেশে আন্তর্জাতিক সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারত বেশ কিছু ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করে রাখল। এই কাজে নামানো হয়েছে চিনুক হেলিকপ্টারকে।
প্যাংগং, গ্যালওয়ান কিংবা ডোকালাম, কোনো সীমান্ত দিয়েই লাল ফৌজের আগ্রাসী প্রচেষ্টা সফল করতে দেয় নি ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় জওয়ানরা সেদিন চোখে চোখ রেখে মুখের ওপর জবাব দিয়ে তাড়িয়ে ছেড়েছিল শত্রুদের। তাই চীন সীমান্তে সদা সতর্ক ভারত। কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল অরুণাচল সীমান্তের কিছু জায়গায় চীনা ফৌজের উপস্থিতি আগের থেকে কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১২ই জানুয়ারি আর্মি চিফ জেনারেল মনোজ পাণ্ডে মেনে নিয়েছিলেন যে ইস্টার্ন কমান্ডার উল্টোদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চীনা সেনার উপস্থিতি আগের চেয়ে সামান্য হলেও কিছুটা বেড়েছে।
চীন সীমান্তের একেবারে কাছাকাছি থাকা ভারতীয় গ্রামগুলির দ্রুত উন্নতি চাইছে ভারত সরকার। সীমান্তের ওপারে চীনাদের ওপর লক্ষ্য রাখার কাজে এই অঞ্চলের গ্রামবাসীরাও যথেষ্ট দক্ষ। এতদিন এই গ্রামগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ছিল না বললেই হয়। লাদাখ, উত্তরাখন্ড, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ অথবা অরুণাচল প্রদেশ সর্বত্রই এক পরিস্থিতি। এবার এই গ্রামগুলিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে নয়া দিল্লী। আলাদা বাজেটও রাখা হয়েছে।
ঐ গ্রামগুলিতে পর্যটন এবং উৎসবের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে সীমান্ত অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভাল হয়। যোগাযোগ ও সড়ক ব্যবস্থা ভাল থাকলে সীমান্ত অঞ্চলে সেনাবাহিনীর পৌঁছাতেও বেশি সময় লাগবে না। তাই এবার ভারত-চীন আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি থাকা ভারতীয় গ্রামগুলিতে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে ভারত সরকার। তৈরি করা হচ্ছে নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা। আকাশে উড়ছে চিনুক হেলিকপ্টার। পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর (গ্রিফ) ভারী যন্ত্রপাতি।