শ্রী গোবিন্দ মোহন জানান, সাংস্কৃতিক কর্মীগোষ্ঠী চারটি বৈঠকের আয়োজন করেছে। এগুলি যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে খাজুরাহো, ভুবনেশ্বর এবং হাম্পিতে। চতুর্থ স্থানটি এখনও স্থির করা হয়নি। তিনি জানান, খাজুরাহোর জন্য ‘সাংস্কৃতিক সম্পদের পুনঃস্থাপন ও সংরক্ষণ’কে আলোচ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্কৃতি সচিব আরও জানান যে খাজুরাহোতে সাংস্কৃতিক কর্মীগোষ্ঠীর একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে মহারাজা ছত্রসাল কনভেনশন সেন্টারে। এর উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডি। সঙ্গে থাকবেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ চৌহান।
খাজুরাহো নৃত্য উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অভ্যাগতরা ইউনেস্কো-র বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ওয়েস্টার্ন গ্রুপ অফ টেম্পলস পরিদর্শন করবেন। তাঁদেরকে পান্না ব্যাঘ্র প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হবে। এই বৈঠকের ১২৫ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
প্রাচীন শহর খাজুরাহো অসাধারণ মন্দির ও বর্ণময় স্থাপত্যের জন্য পরিচিত। ইউনেস্কো-র বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত খাজুরাহো মন্দিরমালা চন্দেল্লা রাজবংশ ৯৫০ থেকে ১০৫০ অব্দের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিল।
ভারতের চারটি ঐতিহাসিক শহরে সাংস্কৃতিক কর্মীগোষ্ঠীর চারটি বৈঠকের মধ্য দিয়ে জি-২০ চারটি অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করবে। ভারতের সাংস্কৃতিক কর্মীগোষ্ঠী বিশ্বমঞ্চে সংস্কৃতিকে এক প্রধান প্রতিপাদ্য হিসেবে তুলে ধরতে চায়। বহুস্তরীয় এবং বহু সংস্কৃতির সমন্বয় হিসেবে সংস্কৃতিকে সমস্ত স্তরে তুলে ধরাই এর লক্ষ্য এবং এই লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক নীতি ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে আদর্শ এবং অভিন্ন ভবিষ্যৎ পন্থা নির্ধারণ করবে।
ভারতের সাংস্কৃতিক কর্মীগোষ্ঠীর চারটি অগ্রাধিকারের এলাকা হল – সাংস্কৃতিক সম্পদের পুনঃস্থাপন ও সংরক্ষণ; সুস্থায়ী ভবিষ্যতের জন্য জীবন্ত ঐতিহ্যের উদ্ধার; সংস্কৃতি ও সৃষ্টিশীল শিল্পের প্রসার এবং সৃষ্টিশীল অর্থনীতি; ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সংস্কৃতির প্রসার ও রক্ষা।
এই সমস্ত অগ্রাধিকারের লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক কর্মীগোষ্ঠী বর্ষব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে যাতে প্রদর্শনী, আলোচনাচক্র, কর্মশালা, বিভিন্ন পুস্তিকা প্রকাশ প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হবে।