আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, 03/12/2022 : সাংবাদিকদের সামনে আজ বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছিলেন চাঁচাছোলা।শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষ জানান....."খড়্গপুরে সম্ভবত আমার মনে নেই ২০১৮ সালে রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিলাম তার জন্য দুজনের নামে কেস দেওয়া হয়েছে। অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখিয়েছি। মিথ্যা মামলা। কোর্ট যেহেতু পুলিশ কেস হয়েছে আমরা জজ সাহেবের সামনে শুনানি ছিল হাজির হলাম আদালতে।"
শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে সভা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য একাধিক স্কুলের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে.....
"এটাও মজার ব্যাপার স্কুল বন্ধ করে পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়ে তৃণমূলের সভা। পুলিশ কিছু বলবে না পারমিশন না নিয়ে হবে কিছু মানা করবে না কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি সভা করলে নিয়ম মেনে, তাকে আটকানো হবে। প্যান্ডেল ভেঙে দেওয়া হবে। গাড়ি আটকানো হবে। কোর্ট থেকে আমরা পারমিশন নিলেও করতে দেওয়া হবে না আর জায়গায় জায়গায় পথ অবরোধ করে কর্মীরা আসতে না পারে যত রকম অপচেষ্টা সেটা শুরু হয়েছে। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন কেন ?"
পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতার বাড়িতে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে বোম বিস্ফোরণ....
"তৃণমূল নেতার হাতে বোম, বুকে বোম এই ভাবেই চলছে বোমের কারখানা আর বোমের টেস্ট নিজেদের মধ্যে হচ্ছে। যত দুষ্কৃতকারী যারা বোম বাঁধতো তারা এখন তৃণমূলের নেতা হয়ে গেছে। যা হবার তাই হয়েছে।"
তৃণমূল বলছে এই বোমা বিস্ফোরণ এর সাথে দলের সম্পর্ক নেই.....
"দলের সম্পর্ক নেই, দলের নেতাদের সম্পর্ক আছে। দুর্নীতির সাথে দলের সম্পর্ক নেই, মন্ত্রী এমএলএ সব জেলে। বলছে দুর্নীতির সাথে সম্পর্ক নেই বাড়ি থেকে ঝুরিঝুড়ি বোম পাওয়া যাচ্ছে। নিজেরা মরে যাচ্ছে বলছে সম্পর্ক নেই কত বড় আহাম্মক হলে এরকম কথা বলে।"
শুভেন্দু অধিকারীর সভাকে কেন্দ্র করে যদি কোন হিংসা হয়, তার দায় কার....
"আমরা আগে দেখেছি ডায়মন্ড হারবার মডেল কি সেখানে করোনার সময় দানছত্র খুলে তিনদিনে বন্ধ করা হয়েছিল মারামারি করে। কোটি কোটি লোককে খাওয়ানো হবে সেটা হয়ে গেল আমাদের পার্টি সর্বভারতীয়। নাড্ডাজী কর্মী সভা করতে যাচ্ছিলেন রাস্তায় তৃণমূলের বিধায়করা হাজার হাজার লোক নিয়ে এসে গাড়ি ভেঙে আটকানোর চেষ্টা করেছে এটাও দেখেছি আমরা। আজকের যে সভা বিরোধী দলনেতা করতে যাছেন ডায়মন্ড হারবারে সেটাকে আটকাবার কাল থেকে শুরু হয়ে গেছে চেষ্টা। যে ডেকোরেটর তাকে ধমকে মঞ্চ খুলে দেওয়া হচ্ছে। ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে জোর করে তাদের পার্টির ঝান্ডা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এখন শুনছি গ্রামে গ্রামে আটকানো হবে। রাস্তায় রাস্তায় লোকজন দাঁড় করিয়ে অবরোধ করিয়ে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটাই হচ্ছে ডায়মন্ড হারবার মডেল।"
কুনাল ঘোষ এর মন্তব্য প্রসঙ্গে....
"কে অপদার্থ, কে পদার্থ সেটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। এত যদি গণতন্ত্রের উপর ওর প্রেম আছে একটা সভা করলে সরকার ভেঙে যাবে ? সেই জন্য কুকথা যারা বলে বেড়াচ্ছে, বাংলার মানুষ হাসছে। এর থেকে ভালো কু-কথা আর হয় না।"
অবরোধের কথা বলছেন মথুরাপুরের লালপুরে অবরোধ হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে....
সেটা আর কি, সব জায়গায় জায়গায় যেখান থেকে কর্মীরা আসবে ওদিক থেকে কাকদ্বীপ থেকে রাস্তা বন্ধ করবে এভাবে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। যাতে সভা পন্ড করা যায়। সরকার আছে সরকারিতন্ত্রকে পুলিশকে লাগিয়ে গুন্ডাদেরকে লাগিয়ে যত দাগি আসামীদেরকে আর নির্বাচনের সময় আর আমাদেরকে আটকানোর সময় সেই সমস্ত লোকেরাই তৃণমূলের সম্পদ,তারাই এসব করছে।
রিপোর্ট : সুব্রত রায়