![]() |
হেমন্ত মান্না |
আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ০৬/০৯/২০২২ : সিভিক ভলয়েন্টিয়ারদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে আক্রমনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিন দেওয়ার নাম করে ফের টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কয়েকদিন আগেই উত্তর দম দম পৌরসভার নিবাসী ফটিক এবং মিন্টু কে এয়ারপোর্ট বিমান বন্দর থানায় কর্মরত হেমন্ত মান্না তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে পেটায় বলে অভিযোগ,তার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর!
সেই দিন ঠিক কি হয়েছিল ? অভিযোগ, হেমন্ত মান্না নামে এলাকাতে পরিচিত সিভিক পুলিশ যে কিনা ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস এক বড়ো নেতা হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেয়, এই এলাকাতেই ফটিক বলে এক রিক্সাওয়ালা আছে, ফটিক এর বৌকে ভ্যাকসিন করিয়ে দেয় হেমন্ত মান্না। তার কিছুদিন পরে রিকশার লাইন এও ঢুকিয়ে দেয় ফটিক কে, সেই বাবদ কিছু টাকা ফটিক এর কাছে দাবি করে,এবং বলে, "তুই আমাকে ১,০০০ টাকা দিবি ভ্যাকসিন এর জন্য;" ফটিক বলে "কেন আমি তো আগেই দিয়েছি, তার পরেই ফটিক কে রিকশার লাইন থেকে জোর করে বার করে দেয় মান্না, এবং ১০০০ টাকা ভ্যাকসিন এর জন্য কেটে নেয় বলে অভিযোগ।
![]() |
অভিযোগকারী ফটিক |
ফটিক এই কথা তৃণমূল এর ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট কে জানালে তারা ওয়ার্ড অফিসে ডেকে পাঠায়, সাথে সাক্ষী হিসাবে মিন্টুকে নিয়ে যায় , যার সামনে টাকা নিয়েছিল মান্না। এর পরেই ওয়ার্ড অফিসে অভিযোগ করতে গেলে মান্না এবং মান্নার গুন্ডা বাহিনী ওয়ার্ড অফিস থেকে টেনে বাইরে বের করে বেধড়ক পেটাতে থাকে দুজন কে।
মার খেয়ে মিন্টুর এক চোখ এর অবস্থা খুবই খারাপ অবস্থা, এবং দুজনকেই ধমকানো হয় যেন থানায় কোনো রকম অভিযোগ না করে, অভিযোগ করলে এলাকা ছাড়া করে দেব এবং আরো অত্যাচার করা হবে, সেই ভয়ে তারা থানাতে অভিযোগ করে না।
কারণ প্রথমত মান্না সিভিক পুলিশ, দ্বিতীয়ত তৃণমূল কংগ্রেস এর বড় নেতা হিসাবে পরিচিত, তাছাড়া মান্না এলাকাতে তৃণমূল এর সিন্ডিকেট বাহিনী, রং এর কাজ, বিল্ডিং এর মেটিরিয়াল, রক্তদান শিবির এর নাম করে টাকা নেওয়া! জোর করে বাড়ির কন্টাক্ট নেওয়া, তার জন্যে মারধর করা,সব কিছুতেই আছে বলে জানা গিয়েছে। সবাই তার ভয়তে আছে। কিছু বললেই কেস এ ফাঁসিয়ে দেবার ভয়,ও সিন্ডিকেট এর গুন্ডা বাহিনী দিয়ে মার খাওয়ানোর ভয় দেখায়।
কে এই মান্না,কিভাবে এর উত্থান ?
সি পি এম এর আমলে এলাকার দায়িত্ব ছিলো এই মান্নার, সেই মতন জোকার ই এস এই হসপিটাল এ চাকরিও পায়, পরে হসপিটাল এ দুর্নীতির অভিযোগ এ মান্নাকে বার করে দেয় বলে অভিযোগ। পরবর্তী কালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসলে জার্সি বদলে তৃণমূল করে,তার মাঝে কংগ্রেস দল ও করে,এই কংগ্রেস এর এক বড়ো নেতার সুপারিশেই উচ্চতা কম থাকলেও সিভিক পুলিশে চাকরি পেয়ে যায়।
তাই যে এত ক্ষমতাবান তার বিরুদ্ধে কে লিখিত অভিযোগ করবে, এখন সিভিক পুলিশ ও তৃণমূল এর নামে এলাকার সিন্ডিকেট,অবৈধ পুকুর ভরাট , বিল্ডিং এর সরঞ্জাম সাপ্লাই, রং এর কাজ, ধমকানো , চমকানো ! তার বিরুদ্ধে আর কে কি কথা বলবে ? এতদিন কেউ কিছু বলে নি, তবে 'আজ খবর' আজ থেকে রুখে দাঁড়ালো।নজর থাকবে ওই হেমন্ত মান্নার ওপরে।
রিপোর্ট : কৌসর আলী