আজ খবর (বাংলা), বেহালা, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, 15/08/2022 : এ বছরের শেষেই শুরু হতে চলেছে জোকা বিবাদীবাগ মেট্রো পরিষেবা, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
আপাতত শুরু হবে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা। পরবর্তীকালে বিবাদীবাগ পর্যন্ত যুক্ত করা হবে বলে রেল সূত্রে খবর। আর সেই কারণেই এক মাসের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে মেট্রোর ট্রায়াল রান এবং জোকা মেট্রো কারসেডে আনা হয়েছে একটি নন এসি রেক। এই বছরের শেষেই শুরু হবে জোকা তারাতলা মেট্রো পরিষেবা।
অনুব্রতকে গ্রেফতার করলেন কেন ? বেহালায় এসে সরাসরি প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর বিরোধীদের সমালোচনা তুঙ্গে। তবে ক’দিন ধরে এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। রবিবার তিনি মুখ খুললেন। বেহালা পশ্চিমে প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর প্রশ্ন, “অনুব্রতকে গ্রেফতার করলেন কেন? কী করেছিল কেষ্ট”?
মমতার এ দিনের বক্তব্যে স্পষ্ট, দলের বীরভূম জেলা সভাপতির পাশে রয়েছেন তিনি। এ দিনের মঞ্চ থেকে ইডি-র হাতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে ‘আইন আইনের পথে চলবে’ বলে জানালেও অনুব্রতর অনেক প্রশংসা করেন। বলেন, “ও কিছু চায়নি। সাংসদ, বিধায়ক কিছু হতে চায়নি। আমি ওকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। ও রাজি হয়নি”।
মমতা বলেন, “সত্যি একটা দু’টো কেস নিয়ে আপনারা এজেন্সি করুন আমার আপত্তি নেই। যদি সত্যি কেউ অন্যায় করে। আইন আইনের পথে চলবে। পরশুদিন কেষ্টকে গ্রেফতার করলেন কেন? কী করেছিল কেষ্ট? যতবার ভোট হয়েছে ওকে আপনারা ঘরবন্দি করে রেখে দিয়েছেন। একটা ভোটেও ওকে বেরোতে দেননি। আসানসোলের ভোটে আমাদের বিধায়ককে বেরোতে দেয়নি। তবু ওর কেন্দ্র থেকে ১ লক্ষ ভোটে শত্রুঘ্ন সিনহা জিতেছেন। কেষ্টকে তো আটকে রেখে দেয়। কেষ্টকে জেলে আটকালে কী হবে”?
অনুব্রতর কথা বলতে গিয়ে মমতা অনুব্রতর শারীরিক ও পারিবারিক পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন। জানান, গত কয়েক বছর ধরে অনুব্রত নানা রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। স্ত্রীকে হারিয়েছে। এমনকী তাঁর স্ত্রী যখন ক্যানসার আক্রান্ত, তখনও নির্দেশ মেনে অনুব্রত মন দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজ করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন মমতা।
ঝাড়খণ্ড সরকার ভাঙার যে চেষ্টা বিজেপি করেছিল তা বাংলার পুলিশ ভেস্তে দিয়েছে বলেও দাবি করে মমতা আরও বলেন, “ঝাড়খণ্ডেও সরকার ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল। ১০ কোটি টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনাবেচা চলছিল। হাতেনাতে ধরে ফেলেছি”।
রিপোর্ট : জয় গুহ