আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, 26/08/2022 : কথিত আছে যখন পুরাকালে দানব দ্বারা পীড়িত ক্লান্ত দেবতারা যখন কৈলাশে আশ্রয় নিলেন, তখন শিব সব দেবতাদের সামনেই মা পার্বতীকে বলেন, “কালিকা তুমি ওদের উদ্ধার করো।”
সবার সামনে 'কালী' বলে ডাকায় মা পার্বতী অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেন, অপমানিত মা পার্বতী ক্রদ্ধ মনে মানস সরোবরের ধারে কঠিন তপস্যায় মগ্ন হন।তপস্যান্তে শীতল মানস সরোবরের জলে স্নান করে নিজের দেহের সব কালো পরিত্যাগ করলেন ও পূর্ণিমার চাঁদের মতো গাত্র বর্ণ ধারণ করলেন সেই সঙ্গে কালো কোশিকাগুলি থেকে এক অপূর্ব সুন্দর কৃষ্ণবর্ণ দেবীর সৃষ্টি হয়। ইনি দেবী কৌশিকী। আজ সেই তিথি, যে দিন এই দেবীর উৎপত্তি হয় এবং তিনি শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। তাই এই অমাবস্যার নাম কৌশিকী অমাবস্যা। আবার আজকের এই দিনে দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী মা তাঁরা মর্ত ধামে আবির্ভূত হন।
আবার আজকের এই দিনেই মা তাঁরা তার মানস পুত্র বামদেব কে প্রথম দর্শন দেন। এই উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের বীরভুম জেলার তারাপীঠে প্রতিবছর বিশেষ পুজা পাঠ তৎসহ হোম যোজ্ঞের আয়োজন উত্সব হয়৷ জনশ্রুতি আছে এই দিনে তন্ত্র মতে ও শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথিতে সাধনা করলে আশাতীত ফল মেলে। সাধক তার কুলকুণ্ডলিনী চক্রকে জাগ্ৰত করার শক্তি অর্জন করে।এই দিনেই এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক উভয়ের ই দ্বার মুহূর্তের জন্য খোলে ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো শুভ অথবা অশুভ শক্তির সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধি লাভ করেন৷
স্বাভাবিক ভাবেই এই বিশেষ অমাবশ্যা তিথিতে তাঁরা পীঠে বিপুল ভক্ত সমাগম হয় মোক্ষলাভে উদ্দেশ্যে। তাঁরা পীঠ মন্দির কমিটি জানিয়েছে তারা আশা করছেন এবছর প্রায় ছয় লাখ ভক্ত সমাগমের, সেই জন্য আজ সারা রাত মন্দিরে র গর্ভ গৃহ ভক্তদের জন্য খোলা রাখবেন, সেই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ও সতর্ক রয়েছে যেকোনো রকম অপ্রিতিকর পরিস্থিতির রাতে সৃষ্টি না হয়।