আজ খবর (বাংলা), দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্দ্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, 10/07/2022 : মূক ও বধির কন্যার বিবাহের ব্যাবস্থা করে মানবিকতা নজির গড়ল দুর্গাপুরের তিন গৃহবধু। শনিবার সকালে দুর্গাপুরের প্রান্তিকা সংলগ্ন মন্দিরে ওই দুস্থ মূক ও বধির মহিলার বিবাহের আয়োজন করা হয়। পাত্র-পাত্রী দুজনেই বিশেষভাবে সক্ষম। পাত্রী যেখানে সম্পূর্ণ ভাবে মুক ও বধির। তেমনি পাত্ররই রয়েছে কথা বলার সমস্যা।কিন্তু ওই দুইজনের ইচ্ছে ছিল সংসার ধর্ম পালনের। আর সেই চার হাতকে এক করতে উদ্যোগী হন দুর্গাপুরের তিন গৃহবধু। আর তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের বিশিষ্ট মানুষেরা।
দুর্গাপুরের তিন বন্ধু বিধান নগর নিবাসী মনি চৌধুরী, সেপকো নিবাসী শম্পা গিরি ও *বেনাচিতি* নিবাসী বুলু মন্ডল এই বিবাহের সম্পূর্ণ খরচা বহন করেন। প্রসঙ্গত বেনাচিতির গোঁসাইনগর নিবাসী শম্পা গিরি তাঁর দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন ৩৪ বছর বয়সী রাখি যাদব সম্পূর্ণরূপে মূক ও বধির ।বাবা মারা যাওয়ার পর পার্টির গোঁসাইনগরের ঘর বিক্রি করে তারা মা মেয়েকে নিয়ে কোনোক্রমে
বর্তমানে মায়াবাজারে একটি ভাড়া ঘরে বসবাস করছিলেন। বিবাহযোগ্যা কন্যার আর্থিক সচ্ছলতার কারণে বিয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছিলেন না । পাশাপাশি মে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন হয় সেভাবে তাঁকে কেউ বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না । এই কথা শোনামাত্র শম্পাদেবী তাঁর দুই বন্ধু মনি চৌধুরী ও বুলু মণ্ডলকে কথা জানান । তারপরেই তিনজনের প্রচেষ্টায় পাত্র খোঁজা থেকে শুরু করে বিয়ের আসর পর্যন্ত সমস্ত খরচ বহন করার সিদ্ধান্ত নেন তারা । আর যেমন ভাবা তেমনই কাজ । তিনজনের প্রচেষ্টায় অবশেষে দুর্গাপুরের বেনাচিতির সুভাষ পল্লির বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী মুন্না যাদবের সঙ্গে বিবাহের ব্যবস্থা করা হয়। মন্দিরে বিয়ের যাবতীয় খরচায় বহন করে তিন বান্ধবী । শুধু তাই নয় আগামী দিনেও দম্পতির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা ।
মনি চৌধুরী জানান তিনি ব্যক্তিগত ও বন্ধুরা মিলে সারা বছর ধরেই সামাজিক কাজে লিপ্ত থাকেন । দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো লক্ষ্য তাদের । তাই বন্ধু সম্পর্ক আছে এই দুস্থ মূক ও বধির কন্যার কথা শুনে এককথায় রাজি হয়ে যান তিনি ।
বুলু মণ্ডল জানান তিনি এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে যথেষ্টই খুশি । পাশাপাশি তিনি জানান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে দরিদ্র মানুষের সাহায্যার্থে সর্বদা তৈরি তিনি ।