আজ খবর (বাংলা), [রাজনীতি] নিউ টাউন, পশ্চিমবঙ্গ, 29/06/2022 : আজ নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব ভঙ্গীতে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর তোপ দাগেন তিনি।
"কেন্দ্রীয় সরকার ৪০% চাকরিতে পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৪০% এগিয়ে,," প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন
"আমি জানিনা এই তথ্য কোত্থেকে উনি পাচ্ছেন। কোন ওয়েবসাইটে। কোন দপ্তরে কতজন চাকরি পেয়েছে তার কোন হিসাব নেই। আর হিসাব তিনি দিতেও পারবেন না। যাও দু-চারজন চাকরি পেয়েছেন, টাকা দিয়ে পেয়েছেন। কত পরীক্ষায় লিস্টে নাম নেই। চাকরির ম্যাসেজ গেছে বাড়িতে। তিনি কি যোগদান করেছেন ?
৪৫ বছর বয়সেও সরকারি চাকরিতে জয়েন করেছে। এরকম তথ্য আমাদের কাছে আছে। মমতা ব্যানার্জি যেটা বলছেন ৪৫% লোক গুজরাট মহারাষ্ট্র দিল্লিতে চাকরি করছেন।"
*রাজ্যে বেহাল চাকরি,,,*
পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিতে পারেনি, কেন্দ্রীয় সরকার যে কাজ করছে তার জন্য চাকরির সুযোগ হচ্ছে। তার লাভ দেশের মানুষ পাচ্ছেন। বাংলার বাইরে গিয়ে সেই জন্য কাজ করতে হচ্ছে। এত এত বড় বড় ব্রিজ হাইওয়ে রেলওয়ে হচ্ছে সেখানে যে নতুন কাজ তৈরি হয়েছে। দেশের মধ্যে এসে কাজ করছে এই ধরনের উন্নতির জন্য নতুন নতুন কাজের সৃষ্টি হচ্ছে। সেটা দেশের লোক পাচ্ছেন। না হলে সারাদেশে বিদ্রোহ হতো। সারাদেশে কেউ ধর্না দিচ্ছে না পশ্চিমবাংলায় কেন ধর্না দিচ্ছে ?
লেখাপড়া জানা ছেলে-মেয়েরা পাস করার পর রাস্তার ধারে বসে থাকে। দশ বছর ধরে তাদের চাকরি হয় না। কিন্তু ভারতবর্ষে কোথাও দেখা যায় না, পশ্চিম বাংলায় এটাই হচ্ছে সমস্যা উনি বলছেন এক ঘটনা অন্য ঘটছে।
*চাকরি দুর্নীতি,,,*
১৭ হাজার চাকরি প্রস্তুত রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তিনি দিতে পারছেন না। যে ১৭ হাজার আগে দিয়েছেন তার কি হবে তার মধ্যে কতজন পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। কেন প্রত্যেকটা নিয়োগকে বাতিল করে দিচ্ছে। হাইকোর্ট কেন তার নেতা নেত্রীরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাদের চাকরি চলে যাচ্ছে কেন ?
সব জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। কোথাও বিধি রুল মনে হয়নি আগামী দিনে।
*প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনা,,,*
রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল আসছে। নাম পরিবর্তন হয়েছে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বারবার অভিযোগ করেছি শুধু নাম পরিবর্তন নয় প্রজেক্টে যেমন নাম পাল্টে গেছে তেমন লাভার্থীদের নাম পাল্টে গেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার লিস্ট এসেছিল। সেই লিস্টকে পুরো পাল্টে দেওয়া হয়েছে। আমার মেদিনীপুর কেশিয়াড়ীতে একটা পঞ্চায়েতের সাড়ে চারশো জন গরীব আদিবাসী তাদের নাম কেটে দিয়ে নিজেদের লোকেদের নাম দেওয়া হয়েছে। সব জায়গায় শৌচালয় হোক আবাস যোজনা হোক বা অন্য রাস্তার যেটা হয়েছে পাল্টে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। বিরোধী দেওয়া হচ্ছে না এটা সব জায়গায় হচ্ছে। আমরা বারবার অভিযোগ করেছি নিশ্চয়ই কেন্দ্র খোঁজখবর করবে এটা।
*ভুয়ো রেশন কার্ড,,,*
ভুয়ো রেশন কার্ড নিয়ে টুইট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পশ্চিম বাংলায় ৬৮ লক্ষ রেশন কার্ড বেরিয়েছে। আপনারা ভাবুন এই দু'বছর ধরে ফ্রি রেশন দিচ্ছে। কেন্দ্র সরকার গরিব যোজনাতে। তাতে যদি একটা লোক মাসে সাড়ে ৩০০ টাকা পায় একটা কার্ড পিছু তাহলে দু'বছরের রেশন কার্ডের মাধ্যমে যারা পেয়েছে তারা কারা, কত হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে ?
বহু জায়গায় এরকম ভুয়ো নাম আছে, ভোটার লিস্টে নাম ঢুকে গেছে। আমার মনে হয় ৭-৮ শতাংশ এই যে টাকাটা কেন্দ্র পাঠাচ্ছে সেই টাকাটা লুট হত। এটা বন্ধ হবে, আমার কাছে তথ্য এসেছে। তাই আমি সেটা সাধারণ মানুষকে জানাতে টুইটার, ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ যাতে জানতে পারে তাই দিয়েছি।
*নির্মল মাঝির মন্তব্য,,,*
রানী রানী রাসমণি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রূপে জন্ম গ্রহণ করেছেন। তৃণমূলের এক বিধায়ক তিনি মঞ্চ থেকে বলেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেখুন এই করে করে পা ধুয়ে ধুয়ে এতদিন সব পোস্ট রেখেছে আর কামিয়ে খাচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি এতেই ফুলে যান। রাসমণি বলছে কে দুর্গা বলছে, এবার উনার নাম রেখে ছবি রেখে পুরো লুট হচ্ছে, পশ্চিমবাংলায় লুটের রাজত্ব চলছে মমতা ব্যানার্জির ছবি লাগিয়ে দিলে কেউ হাত দেবে না। সিবিআই যখন হাত দিচ্ছে তখন বোঝা যাচ্ছে সবকিছু সীমা থাকা উচিত। এত নিচে নামা উচিত নয় বিধায়ক সংশোধ হোক বা পার্টির কর্মী হোক। মহান যারা মহীয়সী তাদেরকে এত ছোট করার অধিকার কেউ দেয়নি।"
*মুকুল রায় প্রসঙ্গ,,,*
মুকুল রায় পিএসসি চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগের পর বিধানসভার স্পিকার বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি সম্প্রতি তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, একই জিনিস মুকুল রায় তৃণমূল জয়েন করেছিলেন তার পরে করা হয়েছিল। কৃষ্ণ কল্যাণী ও তৃণমূল জয়েন করেছে সব জায়গায় দুনম্বরী সব জায়গায় চালাকি সেই জন্য বিধানসভায় কিছু হচ্ছেনা। আর স্বাভাবিক এরকম করলে আমরা সহযোগিতা করতে পারব না। তারা চান না কোন কাজ বিধানসভায় কোন আলোচনা হোক এভাবেই চলুক। পশ্চিমবাংলায় গণতন্ত্রকে হাস্যস্পদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিজেপির ভোটে জেতা বিধায়ক যে দল পরিবর্তন করেছে তাকেই কেন পিএসির চেয়ারম্যান করার জন্য টার্গেট করছে বারবার তৃণমূল টার্গেট করছে না যে তাদের পার্টির লোক তাকে দিয়ে যেখানে ইচ্ছে সই করিয়ে নাও আজকে এই যে লিস্ট বেরিয়েছে চাকরি হয়েছে বা যে ধরনের চুরি হচ্ছে বিভিন্ন তাবেদার লোক সরকারি মহল থেকে সেটাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে স্ট্যাম্প মেরে দিচ্ছে তবে সুবিধা হচ্ছে তাকে সামনে রেখে লুটপাট করা হয় যা ইচ্ছা করুন বানিয়ে দিন কারণ উনি পার্টির লোক এই যে দুনম্বরী চলছে গণতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিয়মকানুন সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে এটা পশ্চিমবাংলায় আর ভবিষ্যৎ অন্ধকার করছে।
*বিজেপির মিথ্যাচার ?*
মুখ্যমন্ত্রী গতকাল বলেছেন বিজেপি মিথ্যাচার করছে। বাংলার মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে চিটিংবাজের দল। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি গেছিলাম সেদিন নির্বাচন প্রচার করতে ফাঁসিদেওয়াতে তাদের একজন নেত্রী যে ভোটে দাঁড়িয়েছে তিনি বারান্দায় পা তুলে লোকদেরকে বলছেন তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন আমারও চিন্তা আছে। আমি কি পালিয়ে যাচ্ছি নাকি, তোরা চাকরি পাবি। আর আপনারা টিভিতেও দেখিয়েছেন একজন যুবক টাকা চাইছেন এক নেতার পা জড়িয়ে ধরেছেন কারণ তিনি ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছেন চাকরির জন্য চাকরি পাননি বলে প্রকাশ্যে টাকা ফেরত চাইছেন এগুলো কি ফেক ভিডিও নাকি উনি চাইছেন লোক যাতে প্রকাশ্যে বিশ্বাস না করে। মানুষ তো নিজের চোখে দেখছে এরকম হাজার হাজার লোককে প্রতারণা করা হয়েছে তারা ভুলে যাবে নাকি মিথ্যে কথা বলার অভ্যাস হয়ে গেছে। মিথ্যে কথা চাপা দেওয়া সত্যকে চাপা দেওয়া ঠিক নয়।