আজ খবর (বাংলা), [রাজনীতি], কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, 14/06/2022 : আজ বিধানসভায দ্বিতীয় অর্ধে আচার্য বিল বয়কট করে ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা।
এতদিন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সান্মানিক আচার্য পদ দেওয়া হত রাজ্যপালকেই। কিন্তু সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে রাজ্যে ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা এই নিয়মের পরিবর্তন ঘটাতে চায়।
রাজ্যের মন্ত্রীরা চান রাজ্যপালের বদলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করা হোক মুখ্যমন্ত্রীকে।
সেই অনুযায়ী গতকাল বিধানসভায় বিল পেশ করা হয়। ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেও যায়। অর্থাৎ বিধান সভায় এই বিল পাস হয়ে যায়। কিন্তু এখানেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। বিধান সভায় ভোট গণনার যে পরিসংখ্যান সরকারিভাবে দেওয়া হয় তাতেই ছিল গলদ। দেখা যায় বিজেপির দিকের অন্তত 15 জনের নাম তৃণমূলের দিকে গুনে নেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি দেখেশুনে বিধানসভার তরফ থেকে ফের একবার সংশোধিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। কিন্তু আগের বারের ভুল পরিসংখ্যানটি ততক্ষণে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে যা ফের একবার সংশোধন করতে হবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে।
শুধু তাই নয়, শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে বিজেপির সাত বিধায়ক সাসপেন্ড ছিলেন। তাঁরা ভোটাভুটির সময় সদনের বাইরে ছিলেন। সুতরাং তাঁদেরকে বাদ দিয়ে সদনের ভিতরে বিজেপির যে বিধায়করা ভোট দিয়েছেন, সেই সংখ্যাতেও অসঙ্গতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, মোট সংখ্যা মিলছে না।
গতকাল সাসপেন্ড হওয়া সাত বিধায়ক বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে সাসপেনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানালেও তা নাকচ লড়ে দেওয়া হয়। গতকাল শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির বিধায়করা বিধানসভা সদনের বাইরে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সিঁড়িতে বসেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন এত বড় একটা বিল কিভাবে বিধানসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অনুপস্থিতিতেই পেশ এবং পাস হয়ে যেতে পারে !
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া রাজ্যের বাকি 31টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নতুন ঐ বিলে। ঐ বিল এরপর রাজ্যপালের কাছে যাবে। তিনি সম্ভবত ওই বিল পাঠাবেন দিল্লীতে রাষ্ট্রপতির কাছে।
এদিকে আজ ঐ বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপির সব বিধায়করাই বিধানসভা থেকে দ্বিতীয় অর্ধে ওয়াক আউট করে বেরিয়ে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে।