আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, 05/05/2022 : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ তাঁর দু’দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরের প্রথম দিনে আজ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সুন্দরবনের দুর্গম এলাকার নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা নর্মদা, সতলুজ এবং কাবেরী ফ্লোটিং বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট বা সীমান্ত চৌকিগুলির উদ্বোধন করেছেন।
শ্রী অমিত শাহ একটি ফ্লোটিং বোট অ্যাম্বুলেন্সকে ফ্ল্যাগ-অফ করেছেন এবং মৈত্রী সংগ্রহালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হরিদাসপুর বর্ডার অবজারভেশন পোস্টে তথাকথিত ‘সীমা প্রহরী সম্মেলন’কেও সম্বোধিত করেছেন। এই উপলক্ষে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী নিশিথ প্রামাণিক ও শ্রী শান্তনু ঠাকুর এবং বিএসএফ বা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহানির্দেশক সহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেন যে “আজ এখানে একটি মৈত্রী সংগ্রহালয়েরও শিলান্যাস হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ভারত সর্বদাই গোটা বিশ্বে মানবাধিকারের নিরাপত্তার ওপর জোর দিয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে যখন আমাদের প্রতিবেশী দেশে মানবাধিকার হনন হয়েছিল আর ঘোর অত্যাচার সংগঠিত হয়েছিল, সেই সময় আমাদের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এবং সেনাবাহিনী মিলেমিশে ওই এলাকায় অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে মানবাধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করে। আজ সেই ঘটনার ৫০ বছর হয়ে গেছে আর এই সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে ওই ঘটনাকে একটি চিরকালীন স্মারকে পরিণত করার জন্য এখানে একটি মৈত্রী সংগ্রহালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
শ্রী অমিত শাহ বলেন যে “বিএসএফ-এর পোস্টিং খুব কঠিন। সীমান্ত এলাকায় কাজ করা সহজ কাজ নয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি সব সময়ে এই চেষ্টা করে গেছেন যাতে সীমান্ত এলাকায় কর্মরত আমাদের জওয়ানদের ন্যূনতম সমস্যা হয়। সেজন্য আপনাদের সুস্থতা, আপনাদের আরোগ্য, হাউজিং স্যাটিসফ্যাকশন রেশিও এবং আপনারা যাতে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারেন, সেরকম কর্মপদ্ধতি রচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা আপনাদের পোস্টিং-এর জায়গাগুলিতে বিভিন্ন পরিষেবা বাড়িয়ে আপনাদের সমস্যা কম করার লক্ষ্য নিয়েও এগিয়ে চলেছি।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী বলেছেন, “এটা অত্যন্ত আনন্দের কথা যে বিএসএফ-এ এখন মহিলাদেরও নিয়োগ করা হচ্ছে আর তাঁরা গর্বের সঙ্গে পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতমাতার সুরক্ষার কাজ করছেন। মহিলাদের জন্য স্বতন্ত্র ব্যারাক তৈরি করা এবং তাঁদের সকল পরিষেবার খেয়াল রাখার জন্য ভারত সরকার একটি পঞ্চবার্ষিকী কর্মসূচি রচনা করেছে।” শ্রী অমিত শাহ বলেন যে “আপনারা নিজেদের জীবনের যে সোনালী বছরগুলি ভারতমাতার সেবার জন্য উৎসর্গ করছেন, তার কোনও মূল্য তো হতেই পারে না! কিন্তু আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারের সকল সমস্যা দূর করার জন্য কোনও চেষ্টার ত্রুটি রাখবে না।”