![]() |
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি |
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর পরিবার দুর্গাপুরে ঈদের বাজার করতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে রাতের অন্ধকারে তাঁদের গাড়িটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গাড়িটি উল্টে যায় এবং রীতিমত দুমড়ে মুচড়ে যায়।
গতকাল রাতে দুর্গাপুর থেকে ইলামবাজার অরণ্যের মধ্যে দিয়ে রাতের বেলায় গাড়িটি আসছিল বেশ দ্রুত বেগে। সেই সময় অরণ্যের বাঙ্কে একটি পণ্য বোঝাই গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। সেই দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িকেই সজোরে এসে ধাক্কা মারে ঐ গাড়িটি। তাতেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন অনুব্রতের দেহরক্ষীর এক বন্ধু। এছাড়াও প্রথম দিকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না অনুব্রতের দেহরক্ষীর পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও এক জন। প্রত্যেককে বোলপুর হাসপাতালে নিয়ে জাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ঐ দুই বছরের শিশুকন্যা ও এবং অনুব্রতের দেহরক্ষীর বন্ধুকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির পিছনেই ছিল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গলের গাড়িটি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরে সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ সংবাদ মাধ্যমে মন্তব্য করে বলেছিলেন, যা পরিস্থিতি, তাতে অনুব্রত মন্ডলকে কেউ মেরে দিলেও অবাক হব না। দিলীপবাবুর সেই মন্তব্য এবং গতকাল গভীর রাতের মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা বেড়ে চলেছে। আর এক বিজেপি নেতা শঙ্কু দেব পণ্ডা বলেছেন, "কেউ কি বার্তা দিতে চাইছে মুখ খুললে কি হতে পারে ?" উল্লেখ্য, অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গলকে কিছুদিন আগেই টানা জেরা করেছে সিবিআই।