সমীর বিশ্বাস |
আজ খবর (বাংলা), শান্তিপুর, নদীয়া, ০৪/০৩/২০২২ : যুদ্ধ বিদ্ধস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নদীয়া জেলার শান্তিপুরের যুবক।
"টানা পাঁচ দিন প্রায় না খাওয়া অবস্থায় বিমানবন্দরে ঘুরে বেড়িয়েছিলাম, ভাবতে পারিনি বেঁচে বাড়ি ফিরব।" চোখেমুখে আতঙ্ক নিয়ে ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নদীয়ার শান্তিপুর থানার গবার চর এলাকার বাসিন্দা সমীর বিশ্বাস। শান্তিপুর থানার গবারচর তালতলা পাড়ার বাসিন্দা সমীর বিশ্বাস পেশায় একজন তাঁত শ্রমিক। দীর্ঘদিন করোনা পরিস্থিতিতে তাঁতের কাজ বন্ধ ছিল। সেই কারণেই কাজ হারিয়ে প্রায় আর্থিক অনটনে ভুগছিল পরিবার। অবশেষে মাস ছয়েক আগে নিজের বাড়ির তাঁত বিক্রি করে আরো কিছু টাকা সুদে ধার নিয়ে ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা হন ।
মনে আশা ছিল বেশি আয় করে পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধ সেই আশা কেড়ে নিল। কোনরকম প্রাণে বেঁচে বাড়ি ফিরে চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে সমীর বিশ্বাস বলেন, "ইউক্রেন থেকে কোনরকমে পোল্যান্ড বিমানবন্দরের কাছে এসেছিলাম। সেখানে টানা না খাওয়া অবস্থায় প্রায় পাঁচদিন ঘুরে বেড়িয়েছি। অবশেষে ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে ভারতের পতাকা হাতে নিয়ে কোনরকমে ভারতীয় সেনার বিমান দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়।
রিপোর্ট : মৌসুমী দেওয়ানজী
সেখান থেকে দমদম এয়ারপোর্ট, তারপরে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে বাড়ি ফিরি। জীবনে বেঁচে বাড়ি ফিরব সেই আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। অন্যদিকে তাঁর চিন্তায় খাওয়া দাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছিল সমীর বিশ্বাসের পরিবারের। সমীর বিশ্বাস বাড়ি ফেরার পর স্বস্তির শ্বাস মিলেছে পরিবারে এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে। তাঁরা সকলেই রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। ভবিষ্যতে আর ইউক্রেনে ফিরে যেতে চান না স্বামীর বিশ্বাস।