আজ খবর (বাংলা), বিধান নগর, পশ্চিমবঙ্গ, ০৭/০২/২০২২ : বিধাননগরে বিজেপির কমিশনারেট ঘেরাও অভিযানকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হল।
বিধান নগরে আর কিছুদিন পরেই পুর নির্বাচন রয়েছে। কিন্তু আট দিন আগে বিধান নগরে থাকা বিজেপির একটি পার্টি অফিসে আক্রমন চালিয়েছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, দুই বিজেপি কর্মী ব্যাপকভাবে জখম হয়েছিলেন সেই আক্রমনে, এমনটাই অভিযোগ তুলে পুলিশে ডায়রি করা হয়েছিল বিজেপির তরফ থেকে। অথচ আট দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি, এই অভিযোগ তুলে প্রায় হাজার খানেক বিজেপি কর্মী আজ বিধান নগর কমিশনারেট ঘেরাও অভিযান শুরু করেন।
বিজেপির এই বিধান নগর কমিশনারেট ঘেরাও অভিযানকে রুখে দিতে সল্ট লেক চত্ত্বরে আজ মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ। সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। যান বাহন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান।
আজ বিজেপি কর্মীরা সল্টলেকের ইজেডসিসি থেকে মিছিল করে বিধান নগর কমিশনারেটের সামনে আসেন। বিজেপির এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির তরফ থেকে কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে চাওয়া হলে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় কমিশনার সেই মুহূর্তে অফিসে নেই। এরপরেই রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এই রাজ্যের পুলিশ রীতিমত দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আপনারা জেনে রাখুন এবার থেকে সব রাজ্যের আইপিএস অফিসাদেরকেই নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র সরকার। নিচু তলার পুলিশ কর্মীদেরকেও দেখবে না রাজ্য সরকার, বঞ্চিত করবে নানান উপায়ে। মানুষের করের টাকায় পুলিশ মাহিনা পায়, তৃণমূল সেই টাকা দেয় না। আট দিন কেটে গেল, অথচ আপনারা অপরাধীদের খুঁজে পেলেন না ? আমরা কিন্তু অপরাধীদের চিহ্নিত করে ডায়রিতে তাদের নাম উল্লেখ করে দিয়ে এসেছিলাম। পিসি ভাইপোর কোম্পানী চলছে এই রাজ্যে। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটা প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলাম, অথচ আমাদের হাজারখানেক কর্মীকে আটকাতে পাঁচ হাজার পুলিশ সকাল থেকে মোতায়েন করা হয়েছে এখানে। সঙ্গে এনেছে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান। পুলিশকে অনুরোধ করছি আপনারা দাঁড়িয়ে না থেকে জল কামান ছুঁড়তে শুরু করুন। আমাদের সহ্য করার ক্ষমতা আছে। অনেক আন্দোলন করেছি আমরা।"