আজ খবর (বাংলা), কিভ, ইউক্রেন, ২৫/০২/২০২২ : ইউক্রেনের রাজধানী কিভ শহরে ঢুকে পড়ল রাশিয়ার সেনা। ইউক্রেনের রাজধানী দখল করার পথে রাশিয়ার সেনারা।
গতকাল রাত্রি থেকেই কিভ শহরের উপকন্ঠে অপেক্ষা করছিল রাশিয়ান সেনাবাহিনী। অপেক্ষা করছিল মস্কোর সবুজ সংকেতের। আজ ভোর রাতেও কিভ শহরের বিভিন্ন জায়াগায় বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে এসেছে। টানটান উত্তেজনা ছিল কিভ শহরে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, আজ সকাল হতেই সবুজ সঙ্কেত চলে এসেছে মস্কো থেকে। তারপরেই দেখা গেল কাতারে কাতারে রাশিয়ান ট্যাঙ্ক এবং ট্রাক ঢুকতে শুরু করেছে কিভ শহরের ভিতরে। একটি স্থানীয় ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল ইউক্রেনের স্থানীয় বাসিন্দারা নিরস্ত্র অবস্থাতেই রাস্তায় নেমে রাশিয়ান সাঁজোয়া গাড়ীগুলিকে নিস্ফল প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল। কিন্তু রাশিয়ান বাহিনী কার্যত বিনা প্রতিরোধেই কিভ শহরে ঢুকে পড়ে। ইউক্রেনের খেরসান শহরেও রাশিয়ার সেনারা ঢুকে পড়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে।
ইউক্রেনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাশিয়ার এই আক্রমনের সামনে ইউক্রেনের মাথা নত করার কোনো প্রশ্নই নেই। বরং ইউক্রেন পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ইউক্রেন জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাশিয়ার পাঁচটি ট্যাঙ্ক তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। তাছাড়া একটি হেলিকপ্টারকেও ধ্বংস করে দিতে পেরেছে। এই মুহুর্তে বেশ কিছু রাশিয়ান সেনা বন্দী রয়েছে ইউক্রেনের কাছে। এই বিষয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেন দাবী করেছে তারা বেশ কিছু রাশিয়ান সেনাকে খতম করেছে, সেই সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। ইউক্রেনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তারা এখনো পর্যন্ত ৮০০ জন রাশিয়ান সেনা খতম করেছে, যদিও ব্রিটেনের মাধ্যম জানাচ্ছে আজ পর্যন্ত রাশিয়ার অন্তত ৪০০ সেনার মৃত্যু হয়েছে।এবার ইউক্রেনের সেনা রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। কিন্তু সেই প্রতিরোধ কতদিনে গড়ে উঠবে, কতদিন চালানো সম্ভব হবে, এই বিষয়ে বিশদে কিছুই জানানো হয় নি।
এই মুহুর্তে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমনও চালিয়ে চলেছে। ইউক্রেনের আটটি সরকারি ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে রয়েছে। ক্রমেই ইউক্রেনবাসীদের গলায় হতাশা স্পষ্ট হচ্ছে। সেখানকার মানুষ বলতে শুরু করেছে, পাশে দাঁড়ানোর কথা সবাই বলে, কিন্তু প্রকৃত সময়ে কেউ পাশে দাঁড়ায় না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, রাশিয়া-আমেরিকার যুদ্ধে আমেরিকা অংশগ্রহণ করবে না। অথচ ইউক্রেন এতদিন জানত যে আমেরিকা তাদের পাশেই থাকবে। আজ ন্যাটো দেশগুলি ফের বৈঠকে বসবে , তার পরেই সিদ্ধান্ত হবে ন্যাটো এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়াবে কি না। তবে ততক্ষণে ইউক্রেনের অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে ইউক্রেনবাসীরাই।