আনিস খান |
আজ খবর (বাংলা), আমতা, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ২৬/০২/২০২২ : আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বারের জন্যে আনিস খানের দেহের ময়না তদন্ত করার জন্যে কবর থেকে দেহ তুলতে দিল না গ্রামবাসীরা।
আদালতের নির্দেশেই মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের মোবাইল ফোন তদন্তের স্বার্থে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে আনিস খানের পরিবার। আদালতের নির্দেশ রয়েছে আনিস খানের দেহ দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করে দেখার জন্যে। এই ব্যাপারে আনিস খানের বাবা সালেম খান লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলের দেহ যেন কবর থেকে আগামী সোমবার তোলা হয়। অথচ আজ ভোর রাতেই আনিসের দেহ কবর থেকে তুলে ফেলতে বিশাল পুলিশ বাহিনী আমতার সারদা গ্রামে পৌঁছে যায়। বিশাল পুলিশবাহিনী দেখেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে গ্রামবাসীরা।
ভোর রাতে আনিসের দেহ কবর থেকে তুলতে পৌঁছে যান এসডিপিও এবং আমতা ২ এর বিডিও। কিন্তু গ্রামবাসীরা বিশাল প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুলিশের সামনে। শেষ পর্যন্ত পুলিশকে কবরখানা পর্যন্ত পৌঁছাতেই দেওয়া হয় নি। পুলিশ বাহিনী ফিরে যেতে বাধ্য হয়। তবে সারদা গ্রামে এই নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অনেক গ্রামবাসীকে এই কথাও বলতে শোনা যায়, 'পুলিশ রাতের অন্ধকারে এসেছিল দেহ গায়েব করে দেওয়ার জন্যে'।
গত ২৩ তারিখে আনিসের দাদা সাবির খানের কাছে একটি হুমকি ফোন এসেছিল, যে ফোনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেছিল 'সিবিআই না চাইতে, সিবিআই চাইলে সপরিবারে প্রাণে মেরে ফেলা হবে'; আমতা থানার নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসির নির্দেশে আজ সেই ব্যাপারেও সাবির খান একটি অভিযোগ দায়ের করলেন আমতা থানায়। হুমকি ফোনের বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হবে।
আনিস খানের পরিবারের পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশেই আনিসের দেহ দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের ব্যাপারে তাঁরা রাজি হয়েছিলেন, কিন্তু সেই দেহ আগামী সোমবারের বদলে যেভাবে আজ ভোর রাতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হল, তাতে পুলিশের ওপর ফের আস্থা ভঙ্গ হচ্ছে তাঁদের। সেক্ষেত্রে গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা হয়ত সুপ্রীম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন।