আগরতলা বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদীর - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


আগরতলা বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদীর

Share This

আগরতলা বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদীর


আজ খবর (বাংলা), আগরতলা, ত্রিপুরা, 05/01/2022 : প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ত্রিপুরায় মহারাজা বীর বিক্রম বিমান বন্দরের নব নির্মিত ইন্টিগ্রেটেড টার্মিনাল বিল্ডিং-এর উদ্বোধন করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনা এবং বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়ের জন্য প্রজেক্ট মিশন ১০০-র সূচনা করেছেন। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার রাজ্যপাল শ্রী সত্যদেও নারায়ণ আর্য, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও শ্রীমতী প্রতিমা ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন। 

এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা প্রয়াসের ভাবনা নিয়ে একবিংশ শতাব্দীর ভারত এগিয়ে চলেছে। আগের অসম উন্নয়নের ফলে কিছু রাজ্য পিছিয়ে থাকতো। সেখানকার মানুষ মূল সুযোগ-সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত হতেন যা কখনোই কাম্য নয়। ত্রিপুরার মানুষ দশকের পর দশক ধরে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন রাজ্যে এমন সরকার ছিল যাদের কোনো দূরদর্শিতা ছিলনা, রাজ্যে উন্নয়নমূলক কাজ করার পরিকল্পনা ছিলনা এবং সীমাহীন দূর্নীতিতে প্রশাসন জর্জরিত ছিল। এই পরিস্থিতির পর বর্তমান সরকার ‘হীরা’ মন্ত্র নিয়ে সকলের মাঝে উপস্থিত হলো। হীরা অর্থাৎ এইচ বা হাইওয়ে, আই বা ইন্টারনেটওয়ে, আর বা রেলওয়ে এবং এ বা এয়ারওয়ে। এই মডেল অনুসরণ করে ত্রিপুরার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরা হীমা মডেল অনুসারে তার যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসার ঘটাচ্ছে এবং সেটিকে শক্তিশালী করছে।  
 
বিমান বন্দরের নব-নির্মিত টার্মিনাল ভবনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এই বিমান বন্দরে পাওয়া যাবে । উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে মহারাজা বীর বিক্রম বিমান বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরাকে উত্তরপূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে গড়ে তুলতে সব রকমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সড়ক, রেল, বিমান ও জলপথে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অভূতপূর্ব বিনিয়োগ করা হয়েছে। এরফলে ত্রিপুরা ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প ও বাণিজ্য করিডরের নতুন হাব হয়ে উঠেছে।  
 
শ্রী মোদী বলেন, ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এই সরকার দ্বিগুন গতিতে কাজ করে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অর্থ সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, সংবেদনশীলতা, মানুষের ক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিষেবা প্রদান, বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলা।’
 
জনসাধারণের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে ত্রিপুরার ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনার সূচনা এর আদর্শ উদাহরণ। বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং সকলে যাতে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন তা নিশ্চিত করতে লালকেল্লার প্রাকার থেকে তিনি যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তারই ফলশ্রুতি এই প্রকল্প। এর  মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে প্রত্যেক বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ, প্রত্যেক পরিবারের জন্য বাড়ি, আয়ুষ্মান প্রকল্প, বিমা, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গৃহ নির্মাণ সংক্রান্ত শর্তাবলীর  পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। এর সুফল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাওয়া যাচ্ছে। ১ লক্ষ ৮০ হাজার পরিবারকে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার বাড়িতে সুবিধাভোগীরা বসবাস করছেন। 
 
শ্রী মোদী বলেন, নতুন শিক্ষানীতি দেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর ফলে যুব সম্প্রদায়ের দক্ষতা বাড়বে, তারা ভারতকে একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক করে তুলবে। এই শিক্ষানীতি স্থানীয় ভাষায় পঠন-পাঠনের ওপর সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। এখন ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীরা মিশন ১০০ এবং বিদ্যাজ্যোতি অভিযানের সুফল পাবেন।  
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছে। এরফলে ছাত্রছাত্রীদের পঠন-পাঠনের বিঘ্ন ঘটবেনা। ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবক-অভিভাবিকাদের দুশ্চিন্তা দূর হবে। তিনি জানান, ত্রিপুরায় ৮০ শতাংশ সুবিধাভোগী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন, ৬৫ শতাংশ মানুষ দুটি ডোজই নিয়েছেন। তিনি আশা করেন খুব শীঘ্রই ত্রিপুরায় ১৫-১৮ বছর বয়সী সকলে টিকার দুটি ডোজই নেবেন। 
 
শ্রী মোদী আশা করেন দেশে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে ত্রিপুরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাঁশের ঝাঁটা, বাঁশের বোতল আজ এখানে তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে এবং বহু মানুষ স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন। রাজ্য জৈব চাষের উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি তার প্রশংসা করেছেন। 
 
মহারাজা বীর বিক্রম বিমান বন্দরের নব-নির্মিত ইন্টিগ্রেটেড টার্মিনাল বিল্ডিং নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা যুক্ত এই ভবনে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করা হবে। বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়ের প্রজেক্ট মিশন ১০০-র মাধ্যমে রাজ্যের শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটানো হবে। ১০০টি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলকে বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়ে পরিণত করা হবে। এইসব স্কুলে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও উন্নত শিক্ষাদান নিশ্চিত করা হবে। আগামী ৩ বছরে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ১ লক্ষ ২০ হাজার ছাত্রছাত্রী প্রকল্পটির সুবিধা পাবে। পুরো প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫০০ কোটি টাকা। 
 
মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনার মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে উন্নয়নের সুফল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ, বিদ্যুতের সংযোগ, গ্রামে সারা বছর ব্যবহার করা যাবে এ ধরণের সড়ক নির্মাণ, প্রত্যেক বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ, প্রতিটি শিশুকে টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা, মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিতে যুক্ত করা সহ বিভিন্ন উদ্যোগ এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। 
Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages