আজ খবর (বাংলা), শান্তিপুর, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ, 19/01/2022 : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে, টোল ফ্রি নাম্বারে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা সংক্রান্ত সহযোগিতা আজ থেকে চালু হলেও, যোগাযোগ না করতে পেরে ছাত্র-ছাত্রীরা হতাশ
50% লোকজন নিয়ে শপিং মল রেস্তোরাঁ বিবাহ অনুষ্ঠান পানশালা সবকিছু চালু থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ দীর্ঘদিন যাবৎ। এমত অবস্থায় অনলাইনে পড়াশুনা ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনের সমস্যার কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা থেকে বঞ্চিত সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী। স্কুল ছুটদের বিদ্যালয়মুখী করতে কিছুদিন আগেও দেখা গেছে খোদ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পৌছাতে হয়েছিল বাড়ি বাড়ি।
দ্বিতীয়বারের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার পর, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরিচালনায় আজ 17 ই জানুয়ারি থেকে চালু হলো বাংলার শিক্ষা দুরভাষে নামে এক বিশেষ উদ্যোগ। যেখানে বলা হয়েছে ঘরে বসেই ছাত্রছাত্রীরা একটি বিশেষ টোল ফ্রি নাম্বার এ সকাল 10:30 থেকে দুপুর 1: 30 পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পাবেন অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দের কাছ থেকে।
অন্যদিকে দুপুর 1:30 থেকে বিকাল সাড়ে চারটে পর্যন্ত সময়ে সীমার মধ্যে নবম এবং দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রবিবার বাদ দিয়ে সপ্তাহে প্রতিদিন থাকছে পড়াশোনা সম্পর্কিত বিশেষ আলোচনা, তাতেও ছাত্র-ছাত্রীদের নানান পড়াশোনা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে বলেই আশাবাদী ছিলেন ছাত্র ছাত্রীরা। কিন্তু আজ সকাল থেকে, হতাশ হয়েছেন তাঁরা, ওই নাম্বারটিতে একাধিকবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না।
কম্পিউটার পরিচালিত হওয়ার কারণে তা নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। শুধু নদীয়ার শান্তিপুর নয়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেছে, এখনো পর্যন্ত সফল হয়েছেন এমন কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার শান্তিপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক বাবলু শেখ জানান, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ হতে পারে তবে ছাত্র-ছাত্রীদের এতোটুকু কাজে লাগবে না।
সারা রাজ্যে এত ছাত্র-ছাত্রী একটিমাত্র টোল ফ্রি নাম্বার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা লক্ষ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীর জমে থাকা কোটি কোটি প্রশ্ন সমাধান হয়ে যাবে এটা হাস্যকর । বিকল্প পাঠশালা নামে আমরা অতীতেও মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলাম এবারও সেই ব্যবস্থা করার প্রচেষ্টা চলছে। সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে 50% নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে স্কুল চালু করার ব্যাপারে, জেলার চারটি মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছি।
মলয় দে নদীয়া:-