আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ২৮/০১/২০২২ : প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৭শে জানুয়ারি ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে প্রথম ভারত-মধ্য এশীয় শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। কাজাখস্তান, কিরঘিজ প্রজাতন্ত্র, তাজিকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান ও উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতিরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ভারত ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৩০ তম বর্ষে প্রধম এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলির নেতারা ভারত ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। নেতৃবৃন্দ বৈঠকে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটি হল প্রতি দু’বছর অন্তর এই সম্মেলন আয়োজন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদেশ মন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রী, সংস্কৃতি মন্ত্রী এবং নিরাপত্তা পরিষদের সচিবদের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির বিষয়ে নিয়মিত বৈঠকের ব্যবস্থা করা হবে। এই ব্যবস্থাপনাকে সাহায্য করার জন্য ভারত-মধ্য এশিয়া সচিবালয় নতুন দিল্লিতে গড়ে তোলা হবে।
বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তোলা, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে ভারতের জনসাধারণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভবিষ্যতে যে বিষয়গুলির উপর আলোচনা হবে সেগুলি হলো : জ্বালানি ও যোগাযোগ; চাবাহার বন্দরের ব্যবহার এবং আফগানিস্তানের বিষয়ে উচ্চ পদস্থ আধিকারিক স্তরে আলোচনার জন্য যৌথ কর্মীগোষ্ঠী গঠন; মধ্য এশিয় দেশগুলিতে বৌদ্ধ ধর্মের নিদর্শনগুলির প্রদর্শনী; সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যৌথ মহড়া; মধ্য এশিয়ার দেশগুলি থেকে প্রতি বছর ১০০ জন যুব প্রতিনিধির ভারত সফর এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলির কূটনীতিবিদদের জন্য বিশেষ পাঠক্রম।
আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে মধ্য এশিয়ার দেশগুলির রাষ্ট্র নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেছেন। আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনা, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীল পরিবেশের জন্য একটি প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী সর্বাঙ্গীন সরকার গঠনের বিষয়ে নেতৃবৃন্দ তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। আফগান জনসাধারণকে মানবিক সাহায্য দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারতের অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেছেন।
ভারত ও মধ্য এশিয়ার মধ্যে সর্বাঙ্গীন সহযোগিতা গড়ে তুলতে একটি অভিন্ন পরিকল্পনা তৈরির জন্য নেতৃবৃন্দ বৈঠকের শেষে যৌথ ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেছেন।