আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, 03/11/2021 : সুপ্রীম কোর্টের পর এবার কলকাতা হাইকোর্টও গ্রীন ক্র্যাকার্স বা পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিল।
আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজকুমার মান্থা ও বিচারপতি ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল যে রাজ্যে কালীপূজা বা দেওয়ালি উপলক্ষ্যে শুধুমাত্র পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। শুধুমাত্র পরিবেশ বান্ধব বাজিই যে পোড়ানো হচ্ছে তা দেখতে নজরদারি করবে রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাজি পোড়ানো যাবে রাত্রি আটটা থেকে রাত্রি দশটার মধ্যে, অর্থাৎ দুই ঘণ্টার জন্যে।
বাজারে যে পরিবেশ বান্ধব বাজিই শুধুমাত্র বিক্রি হবে তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু ক্রেতারা কিভাবে বুঝবেন কোনটা পরিবেশ বান্ধব আর কোনটা পরিবেশ বান্ধব নয় ? যে বাজিগুলি পরিবেশকে দুষিত করে না, যে বাজিগুলিতে সোডিয়াম, পটাসিয়াম নাইট্রেট ও এলুমিনিয়ামের মাত্রা কম পরিমানে ব্যবহৃত হয়, সেগুলিকেই সবুজ বাজি বা পরিবেশ বান্ধব বাজি বলা হচ্ছে। কিন্তু কোনো ক্রেতার ক্ষেত্রে এটা বোঝা প্রায় অসম্ভব কোনটা সবুজ বাজি আর কোনটা নয়।
এ ক্ষেত্রে একটা কাজ করা যায়, মোবাইল ফোনে যে কিউ আর কোড স্ক্যানার আছে তা দিয়ে বাজির বাক্সের গায়ে যে কিউ আর কোড দেওয়া থাকে তা স্ক্যান করতে হবে। সেইসঙ্গে ঐ বাজি তৈরির লাইসেন্স উঠে আসবে। যদি তা আসে তাহলে সেটা পরিবেশ বান্ধব বাজি। আর না আসলে সেটা পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি নয়, এমন একটা তত্ত্ব উঠে এসেছে।
কিন্তু এতকিছু করে বাজি কেনা কি আদৌ সম্ভব হবে ? সাধারন ক্রেতারা কি এটা ঝামেলা পোহাবেন ? সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বাজি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য কোটি কোটি টাকার বাজি ভিন রাজ্য থেকে এই রাজ্যে এনে এখন আর বিক্রি করা যাচ্ছে না। প্রচুর টাকা জলে গেল। এই ক্ষতি তাঁরা কিভাবে পুরণ করবেন তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।