আজ খবর (বাংলা), জলপাইগুড়ি, পশ্চিমবঙ্গ, 21/09/2021: অবশেষে ভ্যাকসিন পেলো তিস্তা নদীর চরে অবস্থিত বাহীর চর এলাকার অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সহ সাধারণ বাসিন্দারা ।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন আগে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বোয়ালমারীর নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিস্তা নদীর চরে অবস্থিত বাহীর চর এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষ এসেছিলেন বোয়ালমারী নন্দনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন নিতে। কিন্তু তাঁদের হাতে আশা কর্মীদের দেওয়া কোন টোকেন ছিল না।
সে কারণেই নিতান্তই তাঁদের ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। অবশেষে বোয়ালমারী নন্দনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের তৎপরতায় এবং এলাকার বাসিন্দাদের সহযোগিতায় চরের মানুষদের পরবর্তীতে টোকেন পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেইমতো আজ তাঁরা নৌকায় চড়ে তিস্তা নদী পেরিয়ে এমনকি ঠাসা বালুরচর পায়ে হেঁটে ভ্যাকসিন নিতে আসেন।
আজ ভ্যাকসিন নিতে পেরে অনেকটাই খুশি প্রকাশ করলেন তিস্তার চরে বসবাসকারী বাসিন্দারা। সেরকমটাই জানালেন তিস্তার চরে বসবাসকারী 60 বছরের উর্ধ্বে নিমাই বিশ্বাস ও দশরথ সরকাররা। তাঁরা বলেন, তিস্তা নদীর চরের শুকনো বালুর উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে, তারপর নৌকায় চড়ে অনেকটাই কষ্ট সাধনের মধ্য দিয়ে এসেছেন ভ্যাকসিন নিতে। ছাতা মাথায় ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁরা আরো জানিয়েছেন, প্রচন্ড রোদ এবং শুকনো বালুরচর পায়ে হেঁটে ক্লান্ত হলেও ভ্যাকসিন নিতে পেরে অনেকেটা স্বস্তি পেলেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারীর নন্দনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফিমেল মাল্টিপারপাস স্টাফ অনুপমা সরকার বলেন, "বাহিরচর এর বেশ কিছু মানুষ কয়েকদিন আগে ভুলবশত টোকেন ছাড়াই ভ্যাকসিন নিতে এসেছিল । তাই তাদের কথা মাথায় রেখে বর্তমানে ভ্যাকসিনের নির্দিষ্ট তারিখ গুলিতে চরের মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
রিপোর্ট : বিকাশ সরকার, হলদিবাড়ি