আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, 15/09/2021 : দিল্লীতে পাকিস্তানের আইএসআই প্রশিক্ষিত ছয় জঙ্গী ধরা পড়ার পরেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল দিল্লী পুলিশের হাতে।
যেটা জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানে জঙ্গী মডিউল তৈরি করার জন্যে গদর বন্দরের কাছে এক গোপন ডেরায় জঙ্গীদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাযুদ ইব্রাহিমের ভাই এর উদ্যোগে এবং পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদতে। শুধু তাই নয়, জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সে দেশের সেনাবাহিনীর কোনো মেজর বা লেফটেনান্ট পদমর্যাদার অফিসার। তাঁর নাম হল গাজি। এই গাজির দুই সহায়ক অফিসারও আছে যাদের নাম হল জব্বর ও হামজা।
দিল্লী পুলিশের হাতে ধরা পড়া জঙ্গীদের মধ্যে দুজনের নাম জিশান কমর এবং ওসামা। এরা পুলিশকে জানিয়েছে, তাদেরকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল একটি নৌকায় চাপিয়ে। প্রথমে তাদের গদর বন্দরের কাছে জিওনি নামে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে বারবার নৌকা বাদল করা হয়েছিল। সমুদ্রে বারবার বিভিন্ন পথ অতিক্রম করতে হচ্ছিল।
এরপর জিওনিতে একজন পাকিস্তানি তাদেরকে নিয়ে চলে যায় সিন্ধ প্রদেশের থাত্টা এলাকায়। সেখানে একটি শিবির ছিল। সেই শিবিরে তিনজন পাকিস্তানি ছিল, তাদের মধ্যে দুজন ছিল হামজা এবং জব্বর। দুজনেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লোক। দুজনেই বেশিরভাগ সময় সেনার ইউনিফর্ম পড়ে থাকত। এদের মধ্যে হামজা মাঝে মাঝে সিভিলিয়ান পোশাকে থাকত, তবে হাম্জার খুব কদর ছিল শিবিরে।
এই হামজা এবং জব্বরই ট্রেনিং দিয়েছিল জিশান ও ওসামাকে। কিভাবে বোমা বানাতে হয়, কিভাবে আইইডি বোমা বিস্ফোরণ করাতে হয়, রিভলবার চালানো, এ কে 47 চালানো সবরকম ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল ওদেরকে। জিশান ও ওসামা ছাড়াও পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে মহারষ্ট্রের বাসিন্দা মহম্মদ শেখ (47), দিল্লীর জামিয়ানগরের বাসিন্দা ওসামা (22), উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলির বাসিন্দা মুলচাঁদ ওরফে লালা (47) এবং উত্তরপ্রদেশের বাহারাইচের বাসিন্দা আবু বকর (23)। এই চার জনকে আদালতে পেশ করা হলে 14 দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে। জিশান ও ওসামাকে আজ আদালতে পেশ করা হাবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের থেকে বিদেশি অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। ইতালিয়ান পিস্তল ছাড়াও বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে। এরা সম্ভবত দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ বা মহারাষ্ট্রের কোনো জায়গায় নাশকতার ছক কষেছিল। গতকাল দিল্লী পুলিশ এই জঙ্গীদের গ্রেপ্তার করেছে।