আজ খবর (বাংলা), কাবুল, আফগানিস্তান, ১০/০৫/২০২১ : আফাগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি স্কুলের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ১৫০ জন। বিস্ফোরণস্থলের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারের কাজ চালানো হচ্ছে।
আফগানিস্তান থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মার্কিন সেনাবাহিনীকে। যতই মার্কিন সেনাবাহিনী সরে যাচ্ছে ততই সে দেশে নাশকতার আতঙ্ক দানা বাঁধছে। আর সেই আতঙ্ককে সত্য প্রমাণিত করে কাবুলের একটি স্কুলের কাছে বড়সড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে গেল। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মোট ৬৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বিস্ফোরণের আঘাতে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ১৫০ জন সাধারণ মানুষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এতবড় বিস্ফোরণের দায় নিতে অস্বীকার করেছে তালিবান গোষ্ঠী। তবু আফগান সরকার মনে করছে এই বিস্ফোণের পিছনে থাকতে পারে তালিবান। এই ঘটনাটিকে 'মানবতা বিরোধী' আখ্যা দিয়ে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘনি তালিবান জঙ্গীদেরকেই দোষারোপ করেছেন। এদিকে আফগান সরকার বিরোধীরা এখনো মার্কিন সেনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখ থেকে আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করার কাজ শুরু করেছে। জঙ্গীরা মার্কিন মুলুকে আক্রমন করার ২০ বছর পার করে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে আমেরিকা।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা যতই সরে যাবে, ততই আফগানিস্তানে অশান্তি আরও বাড়বে বলে মনে করছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু যেভাবে সে দেশে সাধারণ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, তাদের বিনা অপরাধে আঘাত দেওয়া হচ্ছে, তা যথেষ্ট নিন্দনীয়। পাকিস্তানের নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, "এই ধরনের হত্যাকান্ড আফগানিস্তানের গণতন্ত্র ও শান্তির বাতাবরণকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।"