আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ০৬/০৫/২০২১ : পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন সরকার গঠন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আজ বেশ কিছু বিধায়ক শপথ গ্রহণ করলেন, বাকি বিধায়করা আগামীকাল শপথগ্রহন করতে চলেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমন কিছু বিধায়ক আছেন যাঁরা ২০১৬ সালেও বিধায়ক ছিলেন। এই পাঁচ বছরে এই বিধায়কদের মধ্যে কারোর কারোর সম্পত্তি বেড়েছে অনেক গুন্, আবার সম্পত্তি কমে গিয়েছে এমন বিধায়কও আছেন। এই বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। চলুন এক ঝলক দেখে নেওয়া যাক কোন বিধায়কের সম্পত্তি বাড়ল, কার কমল !
প্রথমেই আসা যাক আহমেদ জাভেদ খানের বিষয় সম্পত্তির খবরে। তৃণমূলের কসবা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আহমেদ জাভেদ খানের ২০১৬ সালে সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। ৫ বছর পরে ২০২১ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩২ কোটি টাকার কিছু বেশি, অর্থাৎ তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে ৮৭%;
ফিরহাদ হাকিম তৃণমূলের কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক এবং প্রাক্তন মেয়র। ২০১৬ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি টাকার কিছু বেশি, আর ২০২১ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১৩ কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ১২৩%;
সুব্রত সাহা তৃণমূলের মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক, ২০১৬ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ কোটি টাকার কিছু বেশি, যা ২০২১ সালে বেড়ে হয়েছে ৮ কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৩৮৭%;
তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলার রানিবাঁধ কেন্দ্রের প্রার্থী জ্যোৎস্না মান্ডি, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২০১৬ সালে ছিল ১ লক্ষ টাকার কিছু বেশি, আর ২০২১ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ হয়েছে ৩৯ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে ১৯৮৬% হারে।
রুকবানুর রহমান তৃণমূলের নদীয়া জেলার চাপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক, ২০১৬ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ টাকার কিছু বেশি, আর ২০২১ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩৪ লক্ষের কিছু বেশি। অর্থাৎ রুকবানুর রহমানের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ১১৫২% হারে;
মন্টুরাম পাখীরা তৃণমূলের কাকদ্বীপ কেন্দ্রের বিধায়ক। ২০১৬ সালে তাঁর কাছে যে সম্পত্তি ছিল তার পরিমাণ ছিল ৮ লক্ষ টাকার কিছু বেশি, আর ২০২১ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৬৭ লক্ষ টাকার কিছু বেশি, অর্থাৎ সম্পত্তি বেড়েছে ৭৩৬%;
বিধায়কদের সম্পত্তির পরিমাণ শুধুই যে বেড়ে যায় এমন ধারণা করলে তা ভুল হবে, অনেকের ক্ষেত্রে তা কমেও যায়; যেমন তৃণমূলের কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। ২০১৬ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৪ কোটি টাকার কিছু বেশি, আর ২০২১ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ হয়েছে ৩ কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ তাঁর সম্পত্তি কমেছে -২৮% হারে।
ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন কুমার সিং-এর সম্পত্তির পরিমাণ ২০১৬ সালে ছিল ৫ কোটি টাকার কিছু বেশি, আর ২০২১ সালে সেই সম্পত্তির পরিমাণ কামে হয়েছে ৪ কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে -২১% হারে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক পার্থ চ্যাটার্জির সম্পত্তির পরিমাণ ২০১৬ সালে ছিল ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। কিন্তু ২০২১ সালে তা কমে হয়েছে ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ পার্থবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে -২৮% হারে।
এভাবেই তৃণমূলের মানবাজার কেন্দ্রের বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডুর সম্পত্তির পরিমাণ ৫৩ লক্ষ থেকে কমে ২১ লক্ষে পৌঁছে গিয়েছে। তাঁর সম্পত্তি কমেছে -৬০% হারে। তৃণমূলের আর এক বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা, তিনি নবদ্বীপের বিধায়ক, তাঁর সম্পত্তি ৫ বছরে ৭৫ হাজার থেকে কমে মাত্র ৩০ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে -৬০% হারে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের তৃণমূল বিধায়ক মমতা ভূইঞা, ২০১৬ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৯ লক্ষ টাকার কিছু বেশি, কিন্তু ২০২১ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কমে হয়েছে মাত্র ৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ তাঁর সম্পত্তি কমেছে -৩৮% হারে।