আজ খবর (বাংলা), শ্রীনগর, জম্মু ও কাশ্মীর, ০৬/০৫/২০২১ : রাতের অন্ধকারে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করতে গিয়ে বিএসএফ-এর গুলিতে প্রাণ হারাল এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল মধ্যরাত্রে ২:৩৫ মিনিটে জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে এক পাকিস্তানি রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের দিক থেকে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল, সেই সময় তাকে থামতে বললেও সে থামতে চায়নি এবং ভারতে প্রবেশ করতে এগিয়ে আসছিল, এই সময় বিএসএফ গুলি চালালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাকিস্তানের এই অনুপ্রবেশকারীর সম্বন্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি, তাই এই ব্যক্তির ব্যাপারে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
গত ২ তারিখে মধ্যরাত্রে ঠিক এভাবেই পাঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলায় আন্তর্জাতিক সীমানা পার করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল আর এক পাকিস্তানি। বিএসএফ-এর গুলিতে তারও মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে বিএসএফ সূত্রে। ভারত ও পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্তে যাতে একটিও অনুপ্রবেশের ঘটনা না ঘটে, তার জন্যে বেশগ কড়া মনোভাব নিয়েছে বিএসএফ। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানের দিক থেকে সশস্ত্র জঙ্গীদের ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটতেই থাকছে। তাই আরও কড়া মনোভাব নিয়েছে বিএসএফ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগে পাকিস্তানের সেনারা অন্যভাবে জঙ্গীদের ভারতে পাঠিয়ে দিত। পাক সেনারা রাতের বেলায় ভারতীয় সীমান্তের চৌকিগুলিকে লক্ষ্য করে গোলাগুলি চালাত, সেই মুহূর্তে যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী পাক শেলিং-এর জবাব দিতে ব্যস্ত থাকত, সেই সময় লুকিয়ে আন্তর্জাতিক সীমানা পার করে ভারতে ঢুকে পড়ত জঙ্গীরা। কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন বৈঠকে স্থির হয়েছে, কোনো পক্ষই সীমান্তে গোলাগুলি চালাবে না। তাই ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ মধ্যরাত্রি থেকে দুই দেশই সীমান্তে গোলাগুলি চালানো বন্ধ রেখেছে।
তার আগে পাকিস্তান বিনা প্ররোচনায় যখন তখন যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লংঘন করেই গোলাগুলি চালাত। এই গোলাগুলিতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু সেনা জওয়ান এবং সীমান্তে বসবাসকারী গ্রামবাসীর প্রাণ গিয়েছে। বিএসএফকে একরকম বাধ্য হয়েই পাকিস্তানের গোলাগুলির জবাব দিতে হত। কিন্তু এখন শেলিং সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানী জঙ্গীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ হয় নি। আর সেই কারণেই বিএসএফ কেও আরও কড়া মনোভাব গ্রহণ করতে হচ্ছে।