আজ খবর (বাংলা), শ্রীনগর, জম্মু ও কাশ্মীর, ০৬/০৫/২০২১ : জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে এনকাউন্টারে তিন জঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে, এছাড়া এক জঙ্গী নিরাপত্তাবাহিনীর সামনে অস্ত্র সমর্পন করেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে কোনো রকম সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সেইমত কাশ্মীর উপত্যকায় একের পর এক অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। আজ জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকা থেকে খবর এসেছে যে, কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় কানিগাম নামে একটি জায়গায় জঙ্গীরা আত্মগোপন করে আছে। এমন খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাবাহিনীর জওয়ানরা সেখানে হানা দেয়, তখনই গুলির লড়াই বেঁধে যায় জঙ্গীদের সাথে। গুলির লড়াইয়ে ৩ জঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
সার্চ অপারেশনে নিরাপত্তা বাহিনীতে ছিলেন পুলিশ, ৪৪ রাজস্থান রাইফেলস এবং ১৭৮ ব্যাটালিয়ানের সিআরপিএফ জওয়ানরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কানিগাম এলাকায় নিরাপত্তা বাবাহিনী সার্চ অপারেশনে যায়। সেখানে পৌঁছে জঙ্গীদের অস্তিত্ব টের পেয়ে গোটা গ্রাম গিরে ফেলা হয়, এরপর জঙ্গিদেরকে আত্মসমর্পনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে জঙ্গীরা সম্মত হয় নি। তখন ওই জঙ্গীদের পরিবারের লোকেদের নিয়ে এসে অনুরোধ করা হয় যাতে তারা আত্মসমর্পন করে। সেই মুহূর্তে তৌসিফ আহমেদ নামে এক জঙ্গী অস্ত্র সমর্পন করে দেয়।
এই সময় তৌসিফ বার বার তার সঙ্গীদের আত্মসমর্পন করতে অনুরোধ করতে থাকলেও বাকি জঙ্গীরা তা প্রত্যাখ্যান করে দেয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালাতে শুরু করে। জবাবে নিরাপত্তা বাহিনীও গুলি চালাতে শুরু করে, ঘটনাস্থলেই বাকি তিন জঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। এই তিন জনের মধ্যে দুজনের নাম দানিশ মীর ও মহম্মদ উমের ভাট, এরা সোপিয়ানের খাজাপুড়া এলাকার বাসিন্দা। আর একজনের নাম জাইদ বশির রেসি, সে সোপিয়ানের রাবেন অঞ্চলের বাসিন্দা। এরা প্রত্যেকেই অল বদর জঙ্গী গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত বলে জানতে পারা গিয়েছে। আত্মসমর্পনকারী জঙ্গীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।