আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১৩/০৫/২০২১ : পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা কমাতে এবার আসরে নামল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই বিষয়ে তারা এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসাকে সরাসরি মুসলিম লীগের 'দৌরাত্ম' আখ্যা দিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি আলোক কুমার একটি চিঠি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, "পশ্চিমবঙ্গে ভোট মিটতে না মিটতেই দুর্ভাগ্যবশত তৃণমূল কর্মী এবং জেহাদীরা সমবেতভাবে আক্রমন চালিয়েছে বিরোধীদের ওপর, যার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। ভোট চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই একাধিক বার হুমকি দিয়েছিলেন, ভোটের পর তিনি 'দেখে নেওয়ার' কথাও বলেছিলেন।"
ভোট পরবর্তী হিংসা আসলে পূর্ব পরিকল্পিত ছিল বলে মনে করেন আলোক কুমার। তিনি চিঠিতে দাবী করেছেন, "আর একটুও দেরি না করে দাঙ্গাবাজদের চিহ্নিত করতে হবে। দ্রুত তদন্ত সম্পূর্ণ করে দাঙ্গাবাজদের গ্রেপ্তার করে ফার্স্ট ট্র্যাক আদালতে তাদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। দাঙ্গাপীড়িত অঞ্চল থেকে নিপীড়িত মানুষজনদের উদ্ধার করতে হবে এবং তাদের জীবন ও জীবিকা চলে যাওয়ার জন্যে যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।"
গত ২ তারিখে রাজ্যের নির্বাচনের গণনা শেষ হয়েছে এবং ফল প্রকাশিত হয়েছে। গণনার দিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে হিংসার খবর আসতে শুরু করেছিল। বিজেপির তরফ থেকে একাধিক অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল যে তাদের কর্মীদের ওপর আক্রমন চালাচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি অভিযোগ করেছিল তাদের ৯ জন কর্মীকে তৃণমূলের কর্মীরা হত্যা করেছে। যদিও এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের হিংসার ঘটনায় কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি কেন্দ্রীয় দল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে গিয়েছিল, তারপর তারা কেন্দ্র সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছিল। এখন দেখার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লিখিত আবেদনে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ঠিক কি পদক্ষেপ করেন।
