![]() |
অরবিন্দ কেজরিওয়াল |
আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১১/০৫/২০২১ : দেশজুড়ে চলছে করোনা ভ্যাকসিনের আকাল। আর সেই কারণেই কেন্দ্র সরকারকে চিঠি লিখে করোনা ভ্যাকসিনের ফর্মুলা অন্যান্য উৎপাদক সংস্থাগুলিতেও শেয়ার করার অনুরোধ জানালেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল মনে করেন, যদি করোনা ভ্যাকসিনের ফর্মুলা শুধুমাত্র ২ বা ৩টি কোম্পানীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আরও বেশ কিছু উৎপাদক কোম্পানির মধ্যে ছাড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে দেশে আরও প্রচুর পরিমাণে করুন ভাইরাসের ভ্যাক্সিন উৎপাদন করা সম্ভব হবে, আর তাহলে এখন যে দেশ জুড়ে এই প্রতিষেধকের ঘাটতি বা আকাল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, সেই ঘাটতিও থাকত না।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, "এই মুহূর্তে দেশে মোট ২টি কোম্পানি করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করছে। এক এক মাসে ৬ থেকে ৭ কোটি প্রতিষেধক তৈরি করা হচ্ছে। এভাবে চললে আমাদের দেশের সব নাগরিককে প্রতিষেধক দিতে ২ বছর লেগে যাবে। তার মধ্যে দেশে কোরোনার অনেকগুলি প্রবাহ তৈরি হবে। দেশের সব নাগরিককে প্রতিষেধক দিতে হলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আরও বেশি সংখ্যক প্রতিষেধক তৈরি হওয়া উচিত, আর সেটা তখনি সম্ভব হবে, যখন আরও বেশি সংখ্যায় উৎপাদক সংস্থা এই প্রতিষেধক তৈরি করবে।"
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, "কেন্দ্রের কাছে ক্ষমতা আছে, যার বলে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধকের ফর্মুলা আরও নতুন নতুন উৎপাদকের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। যারা উৎসাহী তারা এগিয়ে এসে এই প্রতিষেধক তৈরি করলে অনেক কম সময়ের মধ্যেই অনেক বেশি সংখ্যক প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে। তাতে করে প্রাণ বাঁচবে বহু মানুষের। লক ডাউন চলার সময় আমরা পিপিই কিট তারই করার অনুমতি নিয়েছিলাম বিভিন্ন সংস্থাকে। খুব কম সময়ের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে পিপিই কিট তৈরি করা গিয়েছিল। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই করা উচিত।"