আজ খবর (বাংলা), মেহদীপুর, মালদহ, ২৮/০৪/২০২১ : করোনার দ্বিতীয় প্রবাহ যে দেশের আমদানী-রপ্তানী ব্যবসার ওপর কি মারাত্মক প্ৰভাৱ ফেলেছে, তা শুধুমাত্র মালদহের মহদীপুর আন্তর্জাতিক চেক পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়।
উত্তরবঙ্গের মালদহের মহদীপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারত রপ্তানী করে স্টোন চিপস, ভূট্টা, চাল, পেঁয়াজ, পোল্ট্রি ফিড এবং ফল। আবার এই সীমান্ত দিয়েই ভারত আমদানী করে পাট, ব্যাটারির সেল, প্লাস্টিক সামগ্রী ইত্যাদি। দুই দেশের মধ্যে আমদানী ও রপ্তানীর কাজকে জরুরীভিত্তিক বলেই ধরা হয়, সেই কাজ যখন তখন থামিয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু করোনা অতিমারীর আবহে মালদহের মেহদীপুর চেক পোস্টে গিয়ে দেখা গেল একের পর এক ট্রাকগুলি লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। স্তব্ধ হয়ে পড়েছে আমদানী - রপ্তানীর কাজকর্ম।
মেহদীপুর স্থলবন্দর অঞ্চলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকগুলি এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই এলাকায় একমাত্র স্থানীয় ট্রাকগুলি চলাচল করছে, তাছাড়া বাইরের ট্রাকগুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে লাইন দিয়ে। তারা পণ্য নামিয়েও দিতে পারছে না। করোনা অতিমারীর জন্যে বাংলাদেশ সরকার হঠাৎ করেই তাদের দেশে লক ডাউন ঘোষণা করে দেওয়ায় ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশে যাওয়া ট্রাকগুলি দাঁড়িয়ে পড়েছে। তারা আর এগোতে পারছে না।
এতে করে আন্তর্জাতিক সীমান্তে আমদানী রপ্তানীর যে একটা গতি থাকে, তা বিনষ্ট হয়েছে। বেশ কিছু পণ্য এমন থাকে, যা পচনশীল। সেক্ষেত্রে করোনা এবং লক ডাউনের ফলে পণ্যগুলিও নষ্ট হতে বসেছে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে সামগ্রী নষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যা আমদানী-রপ্তানী ব্যবসায়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এভাবে চললে তা দেশের অর্থনীতির ওপরেও প্ৰভাৱ ফেলতে পারে।