আজ খবর (বাংলা), খড়্গপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ০৭/০৪/২০২১ : ২০০৬ সালে আইআইটি খড়্গপুরে চালু হয় একটি নতুন শিক্ষা বিভাগ। এই বিভাগটি হ’ল মেধাসত্ত্ব আইন বিভাগ। তখন থেকে এই আইন শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানটি কেবলমাত্র শিক্ষার প্রসারে সহায়ক হয়নি, ভারতের শীর্ষ স্থানীয় আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।
মেধাসত্ত্ব অধিকার বিষয়টিতে তরুণ ও নবীন উদ্ভাবকদের জন্য কর্মশালারও আয়োজন করেছে নিয়মিতভাবে। এই প্রতিষ্ঠানটিই বেশ কয়েক বছর আগে দেশে ঐতিহ্যবাহী কারু শিল্পের প্রয়োজনে জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিগেশন (জিআই) ট্যাগ বা ভৌগোলিক সূচক সৃষ্টির ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নেয়। বসন্তকালীন সেমিস্টারে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্প-ভিত্তিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করে, যার ফলে আইন শিক্ষার্থীরা প্রকৃত উদ্ভাবনের প্রেক্ষিতে খসড়া পেটেন্ট নথি প্রস্তুত করে।
আইআইটি খড়্গপুরের আইন প্রতিষ্ঠানের ডিন অধ্যাপক গৌতম সাহা বলেন, “পেটেন্টের খসড়া প্রস্তুতের পাশাপাশি, এই প্রথম শিক্ষার্থীদের তৈরি রিয়েল টাইম পেটেন্ট অ্যাপ্লিকেশন আমরা গ্রহণ করেছি। উদ্ভাবকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাঁদের প্রযুক্তিগত বিশেষত্ব সম্পর্কে অবহিত হয়ে রাজীব গান্ধী স্কুল অফ ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি ল – এর শিক্ষার্থীরা রিয়েল টাইম পেটেন্ট প্রস্তুত করতে পারছেন।
প্রযুক্তির সঙ্গে আইনকে যুক্ত করে আইআইটি খড়্গপুরের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনে পেটেন্ট প্রদান করার ক্ষেত্রে এভাবেই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রয়াসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আইআইটি খড়্গপুরের মেধা সম্পত্তি অধিকার সেল-ও। প্রতিষ্ঠানে পেটেন্ট অ্যাটর্নি খসড়া পেটেন্টগুলির মূল্যায়ন করে তার অনুমোদন দেন। কোনও পেটেন্টের খসড়া প্রস্তুত করার সময় ছাত্রছাত্রীদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিবরণ এবং একইসঙ্গে পেটেন্টের এক্তিয়ারগুলির বিষয়েও বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করেন পেটেন্ট অ্যাটর্নি।
প্রাক্তন প্রধান অধ্যাপিকা এম পদ্মাবতীর ভাষায় পেটেন্ট বিষয়ে গবেষণার কাজ সুচারুভাবে চালানোই এই প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। মূল উদ্ভাবকের সঙ্গে আলোচনা-সাপেক্ষে পেটেন্ট প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। মেধাসত্ত্ব সম্পর্কে গবেষণা চালানোর ক্ষেত্রেও এখানকার শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে।