আজ খবর (বাংলা), আসানসোল, পশ্চিমবঙ্গ, ১১/০৪/২০২১ : গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতে (৬ ও ৭ এপ্রিল) ০২৩১২ ডাউন কালকা-হাওড়া নেতাজী এক্সপ্রেস বিশেষ ট্রেনটি আসানসোল স্টেশনে পৌঁছনোর পরে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। সাধারণ কামরা থেকে স্লিপার কামরা পর্যন্ত এই তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চালানোর সময় কামরা থেকে মোট ১১০টি প্যারাকিট/রোজারিং এবং ৫৫টি ছোট মুনিয়া প্রজাতির পাখি উদ্ধার করা হয়।
যেহেতু এই সমস্ত মূল্যবান পাখি সাধারণ শ্রেণীর সাইড লোয়ার আসন (৫৫ থেকে ৫৬)-এর নীচ থেকে দাবিহীন হিসেবে ধরা পড়ে, উদ্ধারকৃত ১৬৫টি পাখির ছানা। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন অনুযায়ী এধনের পাখি বিক্রি, কেনা অথবা পরিবহণ করা নিষিদ্ধ।
উক্ত কামরার সিটের নীচ থেকে পাওয়া এই প্যারাকিটগুলি যাত্রীদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি নিজেদের বলে দাবি করেন নি। তাই কোনো অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি এগুলি পাচার করছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দাবিহীন অবৈধ পাখিগুলিকে ট্রেন থেকে নামিয়ে সেগুলি রেলের হেফাজতে আনা হয়।
পর দিন সকালে সালানপুরের রেঞ্জ অফিসারকে ১৬৫টি প্যারাকিট/রোজারিং এবং মুনিয়া পাখির দারিত্ব তুলে দেওয়া হয়। পরীক্ষা করে দেখার পর, বন বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন, যে ১৯৭২ সালের বন্য প্রাণী সুরক্ষা আইন অনুযায়ী পাখির ব্যবসা, কেনা অথবা চালান করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উদ্ধার হওয়া পাখিগুলির কালোবাজারে মোট মূল্য ৬৮,৭৫০ টাকা। যথাযথ নিয়মকানুন অনুসরণ করে সমস্ত পাখির ছানাগুলিকে পুনর্বাসনের জন্য বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।