![]() |
একটি প্রাথমিক নিয়ে যাওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে |
আজ খবর (বাংলা), নন্দীগ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ০১/০৪/২০২১ : দ্বিতীয় দফার ভোটে আজ সকলের নজর রয়েছে নন্দীগ্রামের দিকে। বিভিন্ন বুথ ঘুরে দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুথগুলিতে ঘুরছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীও।বাম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখার্জিকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ কিছুক্ষন আগেই তৃণমূল প্রার্থী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিভিন্ন বুথে ঘুরছেন, তখন বয়াল অঞ্চলে আশপাশ থেকে তাঁকে ঘিরে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দেওয়া হয়। কিন্তু মমতা তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হন নি। এই বিষয়ে সাংবাদিকরা তাঁর প্রতিক্রিয়া চাইলে তিনি বলেন, "এখন কিছু বলব না। পরে কথা বলব।" তবে এই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বয়াল অঞ্চলে। গোটা এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাছেই একটি প্রাথমিক স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই অঞ্চলে পুলিশ ও বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট ও বুথ দখলের অভিযোগ করা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা ঘটনা কথা ফোনে জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। দুজনের মধ্যে এই বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে মিনিট দশেক।"
শাররীরিভাবে আজ বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে অনেক বেশি নিশ্চিন্ত দেখিয়েছে। আজ সকল থেকেনন্দীগ্রামের বেশ কিছু বুথে তিনি যান। নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এখানে গন্ডগোল পাকিয়েছে কিছু পাকিস্তানি।" শুভেন্দু বলেন, "এখানে অশান্ত পরিবেশ নিয়ে ইতিমধ্যেই আমি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অভিযোগ জানিয়েছেন। এখানে যারা অশান্তি করছে, তারা সবাই আসলে পাকিস্তানি। 'জয় বাংলা' তো বাংলাদেশের স্লোগান ! এখানে ভোটার সেজে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক জড়ো হয়েছে। এদের নামও আমি নিতে চাই না। রাজ্যের জঙ্গলরাজ নিয়ে সবাই কমবেশি অবগত আছেন।"
বায়ালের ঘটনায় গোটা নন্দীগ্রামেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুদীপ জৈন। দ্বিতীয় দফার ভোটেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে এখনো ৬ দফার ভোট বাকি রয়েছে। শুভেন্দু বলেছেন, "এখানে মিডিয়ার ওপরেও আক্রমন করা হচ্ছে। আমরা চাই যারা এই আক্রমন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।" এই মুহূর্তে নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছে।