আজ খবর (বাংলা), নন্দীগ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, ০১/০৪/২০২১ : তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের অনেকটা দূরে ঠেলে দিয়ে শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুই ঘণ্টা পর বয়াল কেন্দ্রের বুথ থেকে বের করে নিয়ে গেল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আজ নন্দীগ্রামের বয়াল বুথে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁকে দেখেই বিজেপি কর্মীরা 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দিতে শুরু করেন।এই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই পক্ষই মারমূখী হয়ে ওঠে। তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ওই অঞ্চলে। এই সময় দ্রুত মমতাকে প্রাথমিক স্কুলের বুথের মধ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাইরে তখন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে রীতিমত সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে। দ্রুত সেখানে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃণমূল এবং বিজেপি দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলতে থাকে। দুই পক্ষকেই বুথের কাছ থেকে অনেকটা দূরে ঠেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বুথের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটদানের কাজও ব্যাহত হয়। বয়ালের বুথে বসেই রাজ্যপালকে ফোন করেন মমতা। শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকা আইপিএস অফিসার এবং জেলার এসপির সাথে কথা বলে বুথ থেকে বেরিয়ে আসেন মমতা। তাঁকে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথ থেকে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসেন। এই দুই ঘণ্টা সময়ে যাঁরা ভোট দিতে পারেন নি, তাঁরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন, তার সুব্যবস্থা দাবী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুথ থেকে বেরিয়ে এসে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, "এখানে যা কিছু হয়েছে তার জন্যে আমি তদন্ত দাবী করেছি। এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আমরা ৬৩টি অভিযোগ জমা করেছি। এখানে বহিরাগতরা এসে গন্ডগোল করেছে। ভোটের দায়িত্বে আছে নির্বাচন কমিশন, তাই আমি বিশেষ কিছু করতে পারছি না। নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে আমি চিন্তিত নই , কারন মা মাটি মানুষের আশীর্বাদে আমি এখানে ভোটে জিতব, তবে এখানে রীতিমত চিটিংবাজি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আমি দায়ী করতে চাই না, আমি অভিযোগ করছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুরো বিষয়টি দেখুন। বিজেপি তাদের বহিরাগত গুন্ডাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করুক। আমি চাই না গণতন্ত্র বিপন্ন হোক। বিজেপি বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে এখানে ঝামেলা পাকাচ্ছে। এই ব্যাপারে আমি আগেও অনেক অভিযোগ করেছিলাম।"