কোচবিহারে বাহিনীর গুলিতে নিহত ৪, আহত ৪ - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


কোচবিহারে বাহিনীর গুলিতে নিহত ৪, আহত ৪

Share This

কোচবিহারে বাহিনীর গুলিতে নিহত ৪, আহত ৪


আজ খবর (বাংলা), কোচবিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ১০/০৪/২০২১ : কোচবিহারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত ৪ জন।এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল বলেছে 'তাদের ৪ কর্মীদের হত্যা করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী'।

আজ তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, "কোচবিহারের মাথাভাঙায় ১ নম্বর ব্লকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের গুলি করেছে, এই ঘটনায় ১ জন তৃণমূল কর্মী মারা গিয়েছেন এবং ৩ জন কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি শীতলকুচিতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে, সেখানে ৩ জন তৃণমূল কর্মী মারা গিয়েছেন এবং ১ জন কর্মী আহত হয়েছেন। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন তাঁকে নির্বাচন কমিশন নোটিশ ধরাচ্ছে।" 

স্থানীয় সূত্রে যেটা জানা যাচ্ছে, সেটা হল গুলিতে কোচবিহারে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান নির্বাচন কমিশনে মেইল করে যে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাতে তিনি বলেছেন "মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে গুলির আঘাতে।" স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথাভাঙ্গা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরেছিলেন কয়েকশো গ্রামবাসী। ভীড়ের মধ্যে থেকে কয়েকজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়ে দেয়। গুলির আঘাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এই ঘটনার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেলফ ডিফেন্সের কথা বলা হয়েছে । 'সেলফ ডিফেন্স' অর্থাৎ নিজেদেরকে বাঁচাতে গিয়েই তাঁরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় বিজেপিকেই দোষারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, "আমি আগেই বলেছিলাম কেন্দ্রীয় বাহিনী অত্যাচার করছে, মহিলাদের গায়ে হাত দিচ্ছে। আর আজ আমার ৪-৫জন ভাইকে মেরে দেওয়া হল।  এই সব কিছুই হচ্ছে বিজেপির উস্কানিতে। এই রাজ্যের নির্বাচনে ওরা হারছে বলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।"

এই ঘটনায় নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, "সব মৃত্যুর ঘটনাই বেদনাদায়ক।" বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, "তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে রাখার কথা বলেছিলেন। তাঁর সেই উস্কানি অনুযায়ী ঘেরাও করতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে।" গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

কোচবিহারের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, "ওই এলাকায় এক কিশোর হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে, সেই সময় স্থানীয় কয়েকজন সেই কিশোরের শুশ্রসা করতে থাকেন। এই সময় কয়েকজন সিআইএসএফ জওয়ান সেখানে এসে জানতে চান কি হয়েছে ? এই সময় হঠাৎ করেই গুজব রটে যায়, 'কেন্দ্রীয় বাহিনীর অত্যাচারে কিশোর জখম হয়েছে'। এর পরেই কয়েকশো গ্রামবাসী লাঠি, হাঁসুয়া নিয়ে কর্তব্যরত জওয়ানদের আক্রমন করে। মুহূর্তে জওয়ানদের সাথে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই সময় জওয়ানদের বন্দুক কেড়ে নেওয়া এবং ইভিএম কেড়ে নেওয়ার মত অবস্থা তৈরি হলে জওয়ানরা গুলি চালাতে বাধ্য হন। ওই ঘটনায় ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও একজনের দেহে গুলি লেগেছে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।"

Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages