![]() |
বাংলাদেশে মা কালীর আরাধনায় নরেন্দ্র মোদী |
আজ খবর (বাংলা), ঢাকা, বাংলাদেশ, ২৭/০৩/২০২১ : ২০১৫ সালে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন আর ৬ বছর পর ফের একবার বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল দুদিনের সফরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিবসের শতবর্ষ পূর্তিতে বাংলাদেশ গিয়েছেন তিনি। আজই সফর শেষ করে তিনি ভারতে ফিরে আসবেন।
নরেন্দ্র মোদী আজ বাংলাদেশে ওড়াকান্দি মন্দিরে গিয়েছিলেন। এটি বাংলাদেশের মতুয়া সমাজের মন্দির। মোদী সেখানে গিয়ে বলেন, "এই মন্দিরে আসতে পেরে আমার খুব ভাল লাগছে। এখানে আসার খুব ইচ্ছে ছিল, তার জন্যে দীর্ঘ সময় আমাকে অপেক্ষা করতে হল। আমি শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা করি, তাঁর সামনে মাথা নত করতে পেরে আমি আনন্দ পাই।" পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সমাজের সাথেও মোদীর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে নরেন্দ্র মোদী বলেন, "ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের ভালবাসা এবং অভিনন্দন নিয়ে আমি বাংলাদেশের মানুষকে দিতে এসেছি। বাংলাদেশের জাতীয় উৎসবের শরীক হতে পেরে আমি আপ্লুত। বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিককে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।"
নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে গিয়ে প্রীতি ও শুভেচ্ছার বার্তা দিলেও তাঁর এই সফর ঘিরে গতকাল উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের একাংশ। নরেন্দ্র মোদীর সফরকে ঘিরে কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় কটু মন্তব্যের ঝড় বয়ে যাচ্ছিল। সেই বিকৃত মানসিকতার মন্তব্যগুলোর ছিটেফোঁটা এদেশের সোশ্যাল মিডিয়াতেও এসে পড়ছিল। বাংলাদেশের বেশ কিছু মৌলবাদী সংঠন নরেন্দ মোদীর বাংলাদেশ সফর ঘিরে প্রতিবাদের ঝড় বইয়ে দিতে চাইছিল। গতকাল এই মৌলবাদী সংঠনগুলির উস্কানিতে বেশ কিছু লোক মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখতে থাকে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে পুলিশের সাথে তাদের ধ্বস্তাধস্তি হয়। পুলিশ লাঠি চার্জ করে। এই ঘটনায় পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে এবং লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সম্ভবত এই ধরনের মানুষগুলি প্রীতি, সৌহার্দ্য এবং বন্ধুত্ব বোঝে না। ঘৃণা ছাড়া এই মানুষগুলির ঝুলিতে বোধ হয় আর কিছুই পাওয়া যাবে না।