![]() |
ভোট প্রচারে তৃণমূল ছেড়ে আসা বিজেপি প্রার্থী শিখা চ্যাটার্জি |
আজ খবর (বাংলা), শিলিগুড়ি ও গঙ্গারামপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ১৯/০৩/২০২১ : উত্তরবঙ্গের একদিকে যেমন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে আসা প্রার্থী বেরিয়ে পড়লেন ভোট প্রচারে, তেমন আর এক জায়গায় দেখা গেল প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় নিজেদেরই কার্যালয়ে ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দিলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেই জন্যে প্রস্তুতি পর্বে উত্তরবঙ্গে বিজেপির দুই রকম ছবি ধরা পড়ল।
শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ভবেশ মোড় এলাকায় বিজেপির ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধান সভার কার্যালয়ে বিজেপির প্রার্থী শ্রীমতি শিখা চ্যাটার্জীকে স্বাগত জানানো ও সম্বর্ধনা দেওয়া হয় শুক্রবার সকালে। এই বিধান সভার সকল স্তরের কার্য কর্তাদের উপস্থিতিতে শিখা চ্যাটার্জিকে সংবর্ধনা এবং স্বাগত জানানো হয় বিধানসভার লড়াইয়ে সামিল হওয়ার জন্য। শিখাদেবীকেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
শুক্রবার প্রথমে ভবেশ মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, এরপর একটি বৈঠক করা হয়। বৈঠক শেষে একটি ডিজিটাল ট্যাবলোর সূচনা করেন বিজেপির ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকার আহবায়ক প্রসেনজিৎ পাল এবং শিখা চ্যাটার্জী। ট্যাবলো উদ্বোধনের পর শিখা চ্যাটার্জী বেরিয়ে পড়েন ভোটের প্রচারে। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকার ইস্টার্ন বাইপাস পার্শ্ববর্তী এলাকায় অলি গলিতে ঘুরে বেড়ান বিজেপি প্রার্থী শিখাদেবী। হাতজোড় করে সাধারণ মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি একদা তৃণমূলে থাকা লড়াকু এই নেত্রী তৃণমূলের নানান অপশাসন এবং দুর্নীতির বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছে নানান বিষয় তুলে ধরে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্যে অনুরোধ করেন।
![]() |
করণদিঘির বিজেপি পার্টি অফিসে ভাংচুর দলীয় কর্মীদেরই |
পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘী বিধানসভার বিজেপির দলীয় পার্টি অফিস ভাঙচুর করে টেবিল-চেয়ার সহ একাধিক জিনিসপত্র পুড়িয়ে দিলেন বিজেপির কার্যকর্তা ও কর্মী-সমর্থকরা। বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীরা বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন মনোদেব সিনহা। তাঁকে আমরা করণদিঘী ব্লক বিজেপি কর্মীরা মানছি না।" এর পরেও করণদিঘী বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় দলের মধ্যে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থী পছন্দ না হাওয়ায় বিজেপির আন্দ্রে ক্ষোভ বিক্ষোভ বেড়ে চলেছে। কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে নিজেদের পাতি অফিসেই ভাংচুর কাহালাচ্ছে, অগ্নি সংযোগ করছে। এই ঘটনা যেমন দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে, তেমন উত্তর ব্যাঙের বিভিন্ন জায়গাতেও ঘটেছে। যা কিনা প্রতিপক্ষের মনোবলকেই চাঙ্গা করে দিচ্ছে ভোটের আগে. বিজেপিকে অবিলম্বে এই পরিস্থিতি সামিল দিতে হবে. না হলে যতদিন যাবে এই বিক্ষোভের আগুন আরও বাড়তে থাকবে। ভোট হতে আর বেশিদিন বাকি নেই. তার আগেই এ সমস্যার সমাধান করতে না পারলে গত ৫ বছর ধরে এই রাজ্যে হাজার হাজার বিজেপি কর্মীরা যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, যে আত্ম বলিদান দিয়েছেন তা সবকিছুই বিফলে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।