আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ১৭/০৩/২০২১ : দলের প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় গত দুদিন ধরে বিজেপির হেস্টিংস দপ্তরে ক্রমাগত বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি সমর্থকেরা। সেই বিক্ষোভ অবিলম্বে থামানোর নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
অমিত শাহ নিজেও দেখে গিয়েছেন কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি দপ্তরে বিক্ষুব্ধ বিজেপি সমর্থকেরা দলের বিরুদ্ধে রীতিমত আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। বিজেপি পুলিশের সাথেও ধ্বস্তাধস্তি করছেন, যা দলের ভাবমূর্তিকে কলুষিত করছে। বহু জায়গায় বিজেপির এই সমর্থকেরা পার্টির ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীদের মানতে চাইছেন না, তার জায়গায় তাঁদের পছন্দের প্রার্থী দেওয়ার দাবী তুলেছেন বিজেপি সমর্থকদের একাংশ। যেমন ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী দীপক হালদারকে নিয়ে আপত্তি রয়েছে ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি সমর্থকদের একাংশের। সিঙ্গুরের প্রার্থী মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে নিয়ে আপত্তি আছে সিঙ্গুরের বিজেপি সমর্থকদের একাংশের। এভাবেই আরও কয়েকটি জায়গা থেকে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে হেস্টিংসের বিজেপি দপ্তরের সামনে।
এই বিক্ষোভ ও সমস্যার দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ। বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন, "এই বিক্ষোভের একাংশকে তৃণমূল স্পন্সর করেছে।" তবে দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ বিক্ষোভের বিষয়টি তিনি উপেক্ষা করতে পারেন নি। দলের অভ্যন্তরে তৃণমূল স্তরের কর্মী এবং বুথ কমিটির কর্মীদের সাথে এই ব্যাপারে বেশ কয়েকটি বৈঠক করে সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা করে চলেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
এক বিজেপি নেতা বলেছেন, "দল যে সব ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছে যাঁরা হয়ত মাত্র কয়েকদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের ভোটে জিতে আসার সক্ষমতা দেখেই দল তাঁদেরকে প্রার্থী করেছে। কিন্তু এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেই এতদিন দলের সমর্থকেরা লড়াই করে গিয়েছেন। তাই সেই ব্যক্তিদেরকেই দলের প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না অনেকের। কিন্তু এই বিষয়টি ভোটযুদ্ধের একটি অঙ্গ, এই বিষয়গুলি প্রত্যেকে ভোটেই ঘটে থাকে। আমরা সমর্থক এবং কর্মীদের সাথে বসে আলোচনা করব এই ব্যাপারগুলি নিয়ে।"
বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের বক্তব্যেরও সারবত্তা আছে। তাঁরা এতদিন যাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়েও। কেউ কেউ হয়ত প্রাণও দিয়েছেন, আহত হয়েছেন, হুমকি দেখেছেন, মারধর খেয়েছেন, আহত হয়েছেন, হয়ত বা জেলও খেটেছেন। এখন ভোটের মুখে তাঁদেরকেই নেতা বলে মেনে নেওয়া তাঁদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না. তাই বিক্ষোভের আগুন ধিকি ধিকি করে ছড়িয়ে পড়ছে আর যত দ্রুত সম্ভব বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই আগুন নেভাতে সক্ষম হবে, ততই মঙ্গল। না হলে আসন্ন বিধানসভা ভোটে এই আগুনে আঁচ বিজেপির গায়ে লাগতে বাধ্য।