আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ০২/০৩/২০২১ : ভারতের আইবিএম গবেষণা সংস্থার অধিকর্তা এবং সিটিও, আইবিএম ইন্ডিয়া ও দক্ষিণ এশিয়া ডক্টর গার্গী বি দাসগুপ্ত বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন যে, বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীরা গত বছর বিশ্বব্যাপী অতিমারির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় একটি আশার আলো দেখিয়েছিলেন। তা হচ্ছে মানুষকে সুরক্ষিত, চাকরির নিশ্চয়তা এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে। জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উপলক্ষে" বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ এবং শিক্ষা, দক্ষতা এবং কর্মক্ষেত্রে তার প্রভাব" শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এই মতামত ব্যক্ত করেন।
ডক্টর দাশগুপ্ত তাঁর বক্তব্যে, চাকরির সুনিশ্চিত ভবিষ্যত এবং বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, ডবলু ই এফ-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ভবিষ্যতে নতুন নতুন কাজের পরিধি সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি জানান যে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নবতম দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চাহিদার কথা উল্লেখ করেছে। যা প্রচলিত পদ্ধতিকে সরিয়ে নতুনত্বকে স্থান দিয়েছে।
তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পাঁচটি নতুন ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে। এগুলি হচ্ছে, ডেটা এন্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ক্লাউড, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, পিওপিল এন্ড সেলস এবং মার্কেটিং।
ডক্টর দাশগুপ্ত তাঁর বক্তব্যে সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেন, নীতি সমূহের পরিবর্তনের এবার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। যাতে বিজ্ঞান, বিশেষত ডেটা সায়েন্স যা ডিজিটাল দুনিয়ায় বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। আগামী দশ বছরে যেসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে তার মধ্যে ডেটা এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অন্যতম। সেজন্য বিদ্যালয় স্তর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত পাঠ্যসূচিতে এইসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে ডক্টর দাশগুপ্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।