আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী ,ভারত, ১৫/০৩/২০২১ : ২০২০-২১ এর এপ্রিল-জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ১৮২.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করা হয়েছে, যা মোট অপরিশোধিত তেলের (২৪৯.৮৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন) ৭৩ শতাংশ।
কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় ভারতে তৈল শোধনাগারগুলির সর্বোচ্চ পরিশোধন ক্ষমতাও সীমিত করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার আমদানি-নির্ভরশীলতা কমিয়ে এবং দেশেই তেল ও গ্যাসের উৎপাদন পরিমাণ বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে – উৎপাদন বন্টন চুক্তির আওতায় উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর নিয়ম-নীতির সরলীকরণ; ছোট মাপের উত্তোলন খনি অনুসন্ধান ; হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান ও লাইসেন্স নীতি; কয়লা খনিতে সঞ্চিত মিথেন গ্যাসের দ্রুত বিপণন; জাতীয় স্তরে তথ্য ভান্ডার গঠন প্রভৃতি। লোকসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
শ্রী প্রধান আরও জানান, সরকার ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে তেল ও গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি-নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুসন্ধান তথা লাইসেন্স প্রদান নীতিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করেছে। সরকারের এই নীতিগত সংস্কারের ফলে দেশে পেট্রোপণ্যের উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। একইভাবে, উৎপাদন বন্টন চুক্তির ফলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। এমনকি, জাতীয় তেল সংস্থাগুলি সুনির্দিষ্ট উত্তোলন কেন্দ্রগুলিতে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা গড়ে তুলতে পারবে।