আজ খবর (বাংলা), পূর্ব মেদিনিয়াপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ২১/০৩/২০২১ : রবিবার ছুটির দিনে রাজ্যে রাজনৈতিক প্রচার এবং চাপান উতোর তুঙ্গে উঠেছে। আজ একই দিনে রাজ্যে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারের সুনামি তৈরি করেছেন পশ্চিমবঙ্গে।
আজ পূর্ব মেদিনীপুর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমন হানলেন। মমতা আজ তাঁর জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, "যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন আমি তাঁদেরকে বিশ্বাসঘাতক এবং গদ্দার ছাড়া আর কিছু মনে করি না।. তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করুন কে কত টাকা নিয়েছেন ? নরেন্দ্র মোদী নিজে একজন তৃণমূল চোর ! যাঁরা দলে থেকেও এখনো বিজেপির সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, তাঁদের সাথে আমরা আর কোনো যোগাযোগ রাখি না। তাঁরা যদি চলেও যান তাতে আমার কিছু যায় আসে না।"
গদ্দার বা বিশ্বাসঘাতকদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, "এঁদেরকে আমি যথেষ্ট সন্মান দিয়েছি। যথেষ্ট ভালবেসেছিলাম। আমি নিজে মা তারার ছবি এঁকে ওদের (শুভেন্দু অধিকারী) দিয়েছিলাম ওরা বিশ্বাসঘাতক। ওদের থেকে বড় বিশ্বাসঘতক আর হয় না। মেদিনীপুরের মানুষের উচিত এই ধরনের মানুষ থেকে দূরে থাকা, এদেরকে এড়িয়ে চলাই উচিত।"
মমতার আক্রমনের নিশানায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুকে একসময় মমতার পাশেই দেখতে পাওয়া যেত। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতা ও শুভেন্দু একসাথেই আন্দোলন করেছিলেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর শুভেন্দুকে মন্ত্রীত্ব ছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্ত্বপূর্ন পদ দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সেইসব পদ থেকে পদত্যাগ করে এবং তৃণমূল দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে শুভেন্দু যোগ দেন বিজেপিতে। এবার বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলের জেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দুর বাবা, আর এক তৃণমূল নেতা শিশির অধিকারী। তিনি আজ দৃপ্ত কন্ঠে বলেছেন বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে জয় হবে শুভেন্দুরই।