আজ খবর (বাংলা), নন্দীগ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ২৯/০৩/২০২১ : এবারের বিধান সভা নির্বাচনে সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ লড়াই হতে চলেছে নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করে। এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু ইতিমধ্যেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্তত ৫০ হাজার ভোটে তিনি পরাজিত করবেন, যদি না পারেন, তাহলে তিনি রাজনীতি করা ছেড়ে দেবেন। সুতরাং মে মাসের ২ তারিখে যখন গণনা শুরু হবে, তখন থেকেই সকলের চোখ থাকবে এই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রটিতে।
আগামী মাসের ১ তারিখে নন্দীগ্রামে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। সুতরাং এই কেন্দ্রে ভোটের প্রচার একেবারে শেষ লগ্নে এসে উপস্থিত হয়েছে। আজ বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বেশ কিছু রোড শো এবং জনসভা করেছেন। শুভেন্দু আজ বলেছেন, "পশ্চিমবঙ্গে তোষণের রাজনীতি বন্ধ হোক। উনি (মমতা) এতদিন ধরে ঈদ মুবারক বলতে অভ্যস্ত ছিলেন। এখন হোলি এসেছে বলে উনি সবাইকে হোলি মুবারক বলছেন। আপনারা যদি বেগমকে (মমতা) ভোট দিতে জিতিয়ে আনেন, তাহলে এই রাজ্য মিনি পাকিস্তানে পরিণত হয়ে যাবে। বেগম শেখ সুফিয়ান ছাড়া আর কাউকে চেনেন না। বেগম এখন একটু বদলে গেছেন, ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে তিনি এখন বেশি করে মন্দিরে যেতে শুরু করেছেন।"
আসলে নন্দীগ্রামের ভোট এবার একটু অন্যরকম মাত্রা পেয়ে গিয়েছে, এই লড়াই দুই (মমতা এবং শুভেন্দু) পক্ষের কাছে আত্মসম্মানের লড়াই। তাই দুই পক্ষই এই লড়াইয়ে জেতার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কোনো পক্ষই একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে বিশ্বাসঘাতক, গদ্দার আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "শুভেন্দু উত্তর প্রদেশ থেকে গুন্ডাদের নন্দীগ্রামে এনে তাদের সাহায্য নিচ্ছে।"
যদি বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই ম্রাজ্যে যোগী আদিত্যনাথের মত প্রশাসন তৈরি করতে চান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বরাবর বলে এসেছেন, দীর্ঘ বহু বছর ধরে বাংলার মানুষ কেন্দ্রের বিরোধিতা করে এসেছে, কিন্তু তার ফল ভাল হয় নি। শুভেন্দু চান কেন্দ্রে ও রাজ্যে একই সরকার, যাতে কেন্দ্রের সহায়তায় সব রকম সুযোগ সুবিধা পায় পশ্চিমবঙ্গ। এখানে তিনি ডাবল ইঞ্জিন সরকার চান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হবে তা দেখার জন্যে অপেক্ষা করতেই হবে মে মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত।