![]() |
অভিনেতা হিরণ (হিরন্ময় চ্যাটার্জি) |
আজ খবর (বাংলা), নন্দীগ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, ১০/০৩/২০২১ : স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা পুলিশকে অপব্যবহারের অভিযোগ জনাতে নির্বাচন কমিশনে যেতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
\বিজেপি অভিযোগ করতে চলেছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ কর্মীদেরকে নিজের জন্যে ব্যবহার করে চলেছেন। বিজেপির অভিযোগ মমতা নিজে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা সুরক্ষা নিচ্ছেন এবং নন্দীগ্রাম অঞ্চলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে শুধুমাত্র তাঁর জন্যেই। এই পুলিশ বাহিনীর অফিসারেরা সাদা পোশাকে বিভিন্ন ক্লাবগুলির সাথেও বৈঠক করছেন। বিভিন্ন ভোটারকে প্রভাবিত করছেন।নন্দকুমার থেকে চন্ডিপুর পর্যন্ত প্রায় সব হোটেল বুক করে নিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। স্থানীয় প্রশাসনকেও ভোট প্রচারের কাজে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি নেতৃত্ব।
![]() |
শালতোরার বিজেপি প্রার্থী চান্দনা বাউড়ির বাড়ি, বিজেপি অভিযোগ করেছে, তৃণমূল সরকার তাঁকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত করেছে। |
এদিকে খড়্গপুর সদর থেকে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অভিনেতা হিরণ চ্যাটার্জি। শীগ্রই হিরণকে প্রচারে নামতে দেখা যাবে। তেহট্টের বিদায়ী বিধায়ক গৌরী শঙ্কর দত্ত আজ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন। তিনি তৃণমূলে ছিলেন দলের জন্মলগ্ন থেকেই। তাঁর অভিযোগ তৃণমূল এবার তাঁকে প্রার্থী করে নি, প্রার্থী যে করা হবে না, সেই বিষয়েও কেউ তাঁকে কিছু জানান নি। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থেকে এবার বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন ড: অম্বুজ মহান্তি। তিনি আইআইএম-এ ৩৬ বছর ধরে অধ্যাপনা করছেন, আমেরিকার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেছেন এবং ইউনাইটেড নেশন্স-এর ফেলো ছিলেন দু'বার।
এগরা থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অরূপ দাস এবং বড়জোড়া থেকে দাঁড়িয়েছেন সুপ্রীতি চ্যাটার্জি। নন্দীগ্রামে এবার প্রার্থী দিচ্ছে না আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফ, তবে প্রার্থী দেবে সিপিআইএম। এদিকে আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। বিজেপিতে যোগ দিলেন তপনের বিদায়ী বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা। বিজেপিতে এলেন হাওড়ার প্রাক্তন পৌরপিতা শ্যামল রায়, প্রাক্তন পৌরমাতা নাসরিন খাতুন ও চৈতালি বিশ্বাস। ফলতা জেলা পরিষদের সদস্য প্রবীর পালও আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। পদ্মে এলেন পানিহাটির প্রাক্তন পৌরপিতা পার্থ ঘোষও। এছাড়াও আজ আরও অনেক নেতা, কর্মী তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিজেপির হাত শক্ত করলেন।