আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ০৫/০২/২০২১ : দেশে দ্রুতগামী, অত্যাধুনিক ও বিলাসবহুল ট্রেন চালাচ্ছে ভারতীয় রেল; যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য দিতে ভারতীয় রেল ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ সময়কালে নতুন নতুন রেল পরিষেবার সূচনা করেছে। ২০১৮-১৯ সালে ২৬৬টি এবং ২০১৯-২০ সালে ১৫৩টি নতুন ট্রেন পরিষেবার সূচনা হয়েছে। ভারতীয় রেল ট্রেন পরিষেবার উন্নতিতে এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, হামসফর, তেজস, অন্ত্যোদয়, উৎকৃষ্ট ডবল ডেকার এয়ার কন্ডিশন্ড যাত্রী (উদয়)এর মতো বিভিন্ন প্রিমিয়াম পরিষেবার সূচনা করা হয়েছে।
১) বন্দে ভারত এক্সপ্রেস : অত্যাধুনিক বন্দে ভারত রেল পরিষেবা নতুন দিল্লী-বারাণসী ও নতুন দিল্লী-শ্রীমাতা বৈষ্ণদেবী কাটরার মধ্যে চালু করা হয়েছে। এই ট্রেনগুলি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলে। এখানে উন্নত পরিষেবা, গ্লোবাল পজিশনিক সিস্টেমের সাহায্যে যাত্রীদের তথ্যপ্রদান, স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং ডোর, যাত্রী বান্ধব সিঁড়ি এবং উন্নত মানের জৈব শৌচাগারের ব্যবস্থা রয়েছে।
২) তেজস এক্সপ্রেস পরিষেবা : ভারতীয় রেল চার জোড়া তেজস এক্সপ্রেস চালু করেছে। রেল ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস-করমালি তেজস এক্সপ্রেস এবং চেন্নাই এগমোর-মাদুরাই জংশন তেজস এক্সপ্রেস চালায়। লক্ষ্মৌ-নতুন দিল্লী তেজস এক্সপ্রেস এবং মুম্বাই সেন্ট্রাল-আমেদাবাদ তেজস এক্সপ্রেস ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন চালায়।
৩) উদয় পরিষেবা : উৎকৃষ্ট ডালব ডেকার এয়ার কন্ডিশন্ড যাত্রী (উদয়) এক্সপ্রেস পরিষেবা ব্যাঙ্গালোর সিটি-কোয়েম্বাটোরের মধ্যে এবং বিশাখাপত্তনম-বিজয়ওয়ারা জংশনের মধ্যে চালানো হচ্ছে।
৪) হামসফর, তেজস, অন্ত্যোদয়, উদয়, মহামনার মতো বিভিন্ন প্রিমিয়াম পরিষেবা ছাড়াও দীনদয়ালু ও অনুভুতি কোচ চালানো হচ্ছে। রেলের কামরার ভিতরে এবং বাইরে উন্নত যাত্রী পরিষেবার ব্যবস্থা এর মাধ্যমে নিশ্চিত হচ্ছে।
৫) লিঙ্ক হফমান বুশ কোচ ভারতীয় রেল তৈরি করছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে যাত্রীদের রেল সফর প্রচলিত ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির কামরাগুলির তুলনায় সুখকর ও নিরাপদ হচ্ছে। লিঙ্ক হফমান বুশ কামরাগুলি ২০১৮-১৯ সাল থেকে তৈরি করা হচ্ছে।
৬) ভিস্তাডোম কামরার সাহায্যে যাত্রীরা স্বচ্ছ ছাদ দিয়ে পারিপার্শ্বিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারেন। এই ধরণের কোচ লিঙ্ক হফমান বুশ ব্যবস্থাপনায় তৈরি করা হয়েছে যেখানে অত্যাধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৭) ভারতীয় রেল ২০১৮র এপ্রিল মাসে উৎকৃষ্ট প্রকল্পের সূচনা করেছে। ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির কামরাগুলির পরিবর্তে বিভিন্ন মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনে ৪৪৭টি রেকে নতুন কামরা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০২০-র ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎকৃষ্ট প্রকল্পে ৪৪৭টি রেক চালানো হচ্ছে।
৮) স্বর্ণ প্রকল্পের আওতায় ৬৫টি রাজধানী ও শতাব্দী এক্সপ্রেসের রেকের উন্নতি ঘটানো হয়েছে। রেলের কামরায় অত্যাধুনিক পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শৌচালয়, কামরার পরিচ্ছন্নতা, কর্মীদের ব্যবহার ও বিছানাপত্রের মানোন্নয়ন ঘটানো হয়েছে।
৯) ৬৩টি কামরাকে অত্যাধুনিক কামরায় পরিণত করা হয়েছে যেখানে যাত্রীদের বিভিন্ন তথ্য প্রদান ছাড়াও কামরার তাপমাত্রা, বায়ু চলাচলের মতো বিষয়গুলিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সব কামরায় যাত্রী সুরক্ষা ও নজরদারির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১০) রেল যাত্রীদের শব্দ দূষণের হাত থেকে রেহাই দিতে হেড অন জেনারেশন ট্রেন চালু করা হয়েছে। এছাড়াও জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার যথেষ্ট কমিয়ে বায়ুদূষণ হ্রাস করা হচ্ছে।
১১) রেলের কামরাগুলিতে অত্যাধুনিক ও জ্বালানী সাশ্রয়ী এলইডি বাল্বের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১২) ভারতীয় রেল বিভিন্ন রেলের কামরায় মোবাইলে চার্জ দেওয়ার পয়েন্টের সংখ্যা বাড়িয়েছে।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন রেল, শিল্প বাণিজ্য, উপভোক্তা বিষয়ক খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল।